সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গোটা বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) থেকে নির্বাসিত করা হল আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে (Sanjay Singh)। মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে রাজ্যসভায় অন্যান্য বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে তিনিও সরব হয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। কিছু সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতুবিও হয়ে যায়। সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে বৈঠকেও বসেন বিরোধীরা। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বৈঠকের শেষে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। ফলে গোটা অধিবেশনে আপ (AAP) সাংসদের সাসপেনশনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।
দু’দিন পরে সোমবার শুরু হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সরব হন বিরোধী দলের সাংসদরা। নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে চেয়ারম্যানের পোডিয়ামের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন আপ সাংসদ। তখনই সঞ্জয়ের নাম করে তাঁকে সতর্ক করেন উপরাষ্ট্রপতি। তারপরেই রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল প্রস্তাব আনেন, গোটা বাদল অধিবেশনেই সাসপেন্ড করা হোক সঞ্জয় সিংকে।
গোয়েল বলেন, রাজ্যসভার নিয়মবিরোধী আচরণ করেছেন আপ সাংসদ। একাধিকবার চেয়ারম্যানের নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন তিনি। বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাব মেনেই গোটা বাদল অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে আমলাদের পোস্টিং ও বদলি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করায় গত সপ্তাহেও উপরাষ্ট্রপতি সতর্ক করেছিলেন তাঁকে। তবে এবার গোটা অধিবেশনের জন্যই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করে দিলেন জগদীপ ধনকড়। তার পরেই দু’ঘণ্টার জন্য মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন।
আপ সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী সাংসদরা। তবে এক ঘণ্টা ধরে সেই বৈঠক চলার পরেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। পরে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadha) বলেন, “সঞ্জয় সিংকে সাসপেন্ড করা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, গণতন্ত্রের আদর্শের বিরোধী। চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম কিন্তু বৈঠকে আমাদের কোনও কথাই শোনা হয়নি। তাই ওয়াকআউট করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.