Advertisement
Advertisement
Punjab AAP

মন্ত্রী আছেন, দপ্তর নেই! ‘অস্তিত্বহীন’ দপ্তরেই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ, বিতর্কে পাঞ্জাবের আপ সরকার

সুযোগ বুঝে আপের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বিজেপি।

AAP govt. in Punjab faces Opposition’s ire over ‘non-existing dept
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 22, 2025 9:40 pm
  • Updated:February 22, 2025 9:43 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সরকারের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। অথচ দপ্তরহীন। কিন্তু সেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। তা প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম পঞ্জাব। তিনি বর্ষীয়ান আপ নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কুলদীপ সিং ঢালিওয়াল। তিনি এমন একটি দপ্তরের দায়িত্ব পালন করছেন যার কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু প্রতিবছর বাজেটে এই দপ্তরের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই ভগবন্ত সিং মান সরকারের বিরুদ্ধে বাজারে নেমেছে বিজেপি। দিল্লি ছাড়াও পাঞ্জাবেও আম আদমি পার্টি দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছে তা প্রমাণে মরিয়া গেরুয়া শিবির। মুখে টু শব্দটি করছে না আপ।

দিল্লি দখলের পর বিজেপির এবার নজর পড়েছে আম আদমি পার্টি শাসিত পাঞ্জাবের দিকে। স্বচ্ছ্বতার ঝাড়ুদার পার্টির এক কীর্তিকে কেন্দ্র করে আসর সরগরমে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে বিজেপি শিবির। কারণ, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সরকার ২০ মাস পর আবিষ্কার করল যে, তাদেরই এক মন্ত্রী এমন একটি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যে দপ্তরের কোনও অস্তিত্বই নেই। আর তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লিতে আপের ১০ বছরের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা বিজেপির মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জেগে উঠেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকার করেছে যে, বর্ষীয়ান আপ নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কুলদীপ সিং ঢালিওয়ালের হাতে থাকা প্রশাসনিক সংস্কার নামে কোনও দপ্তরের অস্তিত্বই নেই। যার ফলে ঢালিওয়াল বর্তমানে কেবলমাত্র রাজ্যের অনাবাসী ভারতীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

Advertisement

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে রাজ্যপাল আগের মন্ত্রিসভার রদবদলে সম্মতি দিয়েছেন। ঢালিওয়ালকে প্রথমে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের মে মাসে মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় তা কেড়ে নেওয়া হয়। তাঁর হাতে ছিল এনআরআই বিষয়ক দপ্তর ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর। বর্তমানে এই দুই দপ্তরের কোনও অস্তিত্বই নেই। ২০২৪ সালের ক্যাবিনেট রদবদলের সময়েও তাঁকে এই দপ্তরের দায়িত্বে রেখেছিল আপ সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্তিত্বহীন ওই দপ্তরের জন্য মন্ত্রীকে কোনও কর্মী দেওয়া হয়নি, এমনকী এ পর্যন্ত ওই দপ্তরের কোনও বৈঠকও হয়নি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, আপনারা কেউ ভাবতে পারেন, একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী একটি দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন, যে দপ্তরের সরকারি খাতায় অস্তিত্বই নেই! অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন প্রতারক, যিনি সাধারণ মানুষের মন থেকে একেবারে উবে যাবেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারীও আপ সরকারকে একহাত নিয়ে বলেছেন, আপ সরকার প্রশাসনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ২০ মাস ধরে এক মন্ত্রী কাজ চালাচ্ছেন, যে দপ্তরের ঠিকানাই নেই। মুখ্যমন্ত্রী এসবের কিছুই জানেন না, তা হয় নাকি? ভাতিণ্ডার সাংসদ তথা শিরোমণি অকালি দলনেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল বলেন, একেই বলে আপ-পাঞ্জাব স্টাইলের শাসন। এখানে আসলে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকাই নেই। সবই দিল্লি থেকে রিমোটে কন্ট্রোল করা হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে আপের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement