Advertisement
Advertisement
ঘুষ

লোকসভার টিকিটের জন্য ৬ কোটি ঘুষ কেজরিওয়ালের! বিস্ফোরক প্রার্থীর ছেলে

ছেলের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রার্থীর দাবি, একসঙ্গে থাকেনই না পিতা-পুত্র৷

AAP candidate's son claims father paid Rs 6 crore to Arvind Kejriwal.

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 11, 2019 9:29 pm
  • Updated:May 11, 2019 9:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার টিকিটের জন্য আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুনে গুনে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। শনিবার এই অভিযোগই করলেন পশ্চিম দিল্লির আপ প্রার্থী বলবীর সিং জাখারের ছেলে উদয়। রবিবার ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। ঠিক তার আগের দিন একটি সংবাদ সংস্থাকে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন উদয় জাখার।

তিনি বলেন, “তিন মাস আগে আমার বাবা রাজনীতিতে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ছ’কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি যে এই টিকিটের টাকা দিয়েছেন সে বিষয়ে আমার কাছে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে।” উদয়ের বাবা বলবীর সিং এই বছরের জানুয়ারি মাসে আম আদমি পার্টিতে যোগদান করেন বলে দাবি করেন উদয়। তারপর প্রশ্ন তোলেন, “আমার বাবা আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন কোনওদিনই যোগ দেননি। তারপরও আপ তাঁকে কীভাবে টিকিট দিল?”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে না দাঁড়ানোর গ্রেপ্তার এক দর্শক]

উদয়ের আরও অভিযোগ, প্রথম দিকে বলবীরকে লোকসভার প্রার্থী করতে রাজি ছিলেন না আপ-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু, পরে তাঁর বাবা বলবীর সিং কেজরিওয়াল ও গোপাল রাই-কে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাঁরা টিকিট দেন। এই টাকার লেনদেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেই হয়েছে।পড়াশোনার জন্য তাঁকে টাকা না দিয়ে লোকসভার টিকিটের জন্য টাকা খরচ করেছেন বলবীর। তাই তিনি সংবাদ সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেন উদয়। এপ্রসঙ্গে বলেন, “আমি পড়াশোনার জন্য টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, বাবা বলেন রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ওই টাকা খরচ করেছেন তিনি।”

[আরও পড়ুন: এক বাড়িতেই ৬৬ ভোটার! প্রার্থীদের নজরে এলাহাবাদের এই পরিবার]

যদিও ছেলের এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন পশ্চিম দিল্লি লোকসভা আসনের আপ প্রার্থী বলবীর সিং জাখার। উলটে দাবি করেন, ছেলের সঙ্গে থাকেন না তিনি। এমনকী উদয়ের সঙ্গে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর কোনও আলোচনাই হয়নি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা করছি আমি। ছেলের সঙ্গে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। এমনিতেই ওর সঙ্গে খুব কম কথা হয় আমার। ২০০৯ সালে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ডির্ভোস হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আমার ছেলে জন্মের পর থেকে ওর বর্তমান বাবা-মার কাছে থাকে।” তবে প্রার্থীর ছেলের এমন বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে দিল্লির রাজনীতি বেশ সরগরম৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement