সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ, এক পরিচয়পত্র। এই নীতিতেই আধারের আওতায় পড়তে চলেছেন দেশবাসী। এই কার্ড চালু হওয়ার পর থেকেই অন্যান্য পরিচয়পত্রের দিন প্রায় ফুরিয়েছে। যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে আধারই শেষ কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার কি ভোটার কার্ডকেও পিছনে ফেলতে চলেছে আধার? প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক টিএস কৃষ্ণমূর্তির মত অন্তত তেমনটাই।
[ পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু ছাত্রীর, হুলস্থূল স্কুলে ]
এখনও ভোটার আইডির বিকল্প হিসেবে পাসপোর্ট-সহ একাধিক পরিচয় পত্র্রে অনুমোদন দিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কৃষ্ণমূর্তির প্রশ্ন, এত জটিলতার কী দরকার? নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যত জটিলতা ঢোকানো হবে ততই তা প্যাঁচালো হবে। তার বদলে তাকে আরও সহজ করে তোলা উচিত। ফলে একটিই পরিচয়পত্রকেই সর্বত্র গ্রহণযোগ্য করে তোলা বাঞ্ছনীয়। এবং সেই প্রেক্ষিতে তাঁর মত আধার কার্ডই নির্বাচনের পরিচয়পত্র হয়ে উঠতে পারে। আলাদা করে ভোটার কার্ডের আর দরকার নেই। যেহেতু আধার কার্ডের সঙ্গে বায়োমেট্রিক সংযোগ থাকে তাই এই পরিচয়পত্র যে বিশ্বস্ত সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। সুতরাং কৃষ্ণমূর্তির দাবি, এটাকেই ভোটার কার্ডের বিকল্প হিসেবে পরিচয়পত্র করে তোলা হোক। তাতে জটিলতা কমবে। ভোট প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ হবে।
[ ভারতীয়দের ঘাম-রক্তেই তৈরি তাজমহল, ড্যামেজ কন্ট্রোলে আদিত্যনাথ ]
তবে এখনও দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ভোটার কার্ড নেই। সেক্ষেত্রে কৃষ্ণমূর্তির যুক্তি, একটা সময়সীমা বেঁধে নেওয়া হোক। ২০১৯ বা ২০২০ সালের মধ্যে প্রত্যেক দেশবাসীর হাতে আধার তুলে দেওয়া হোক। তারপরই ভোটর কার্ডকে বিদায় জানিয়ে আধারকেই পরিচয় পত্র করে তোলা হোক। অনেকরকম পরিচয়পত্র ছেড়ে যে এক পরিচয়পত্রে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে এমনটাই মত কৃষ্ণমূর্তির।
[ ‘শুধু তাজমহল নয়, রাষ্ট্রপতি ভবনও ভেঙে ফেলা হোক’ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.