ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে বন্ধ যান চলাচল। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও প্রসূতিরা। হাসপাতালে যেতে প্রায়ই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকলে বিপদ বাড়ছে। আর এই সময় অ্যাম্বুল্যান্সেরও আকাল। প্রয়োজনের তুলনায় পরিষেবা পিছিয়ে অনেকটাই। তার আরও একটি প্রমাণ পাওয়া গেল খাল দিল্লির বুকে। হাসপাতাল যেতে না পেরে পুলিশের গাড়িতেই সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির কিদওয়াই নগর এলাকায়। ওই মহিলার বয়স ২৮ বছর। এলাকায় শ্রমিকদের জন্য একটি ক্যাম্প বানানো হয়েছিল। সেখানেই কিছুদিন ধরে ছিলেন ওই মহিলা। বুধবার আচমকাই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার দরকার হয়ে পড়ে। মহিলার পরিবারের লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়। জানায় এখনই তাদের অ্যাম্বুল্যান্স দরকার। তৎপরতা দেখায় পুলিশও। সঙ্গে সঙ্গে এক মহিলা-সহ চার পুলিশ কনস্টেবল মহিলার বাড়ি পৌঁছে যায়। তাঁকে জররি পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত যানে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাস পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি ওই মহিলা। ভ্যানের মধ্যেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে মা ও মেয়েকে সাফদারজং হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন মা ও মেয়ে দু’জনেই সুস্থ রয়েছে বলে খবর।
এদিকে বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণ রুখতে নতুন করে দিল্লি কয়েকটি জায়গা সিল করল প্রশাসন। এই ১৩টি এলাকাই গাজিয়াবাদের। ওই এলাকাগুলিকে ‘সংক্রামক এলাকা’ বলে চিহ্নিত করে বুধবার মাঝরাত থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নয়ডারও ২২টি এলাকা রয়েছে এর আওতায়। NCR এলাকার মূলত বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। কনট প্লেসের বিখ্যাত বাঙালি বাজারটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মালব্যনগর, সঙ্গমবিহার, দ্বারকা, জাহাঙ্গিরপুরী, দিলশাদ গার্ডেন, ময়ূর বিহার, প্রীত বিহারের অনেকাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চারটি হাউজিং সোসাইটি সম্পূর্ণ বন্ধ। অন্তত ১৫ হাজার মানুষ একেবারে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা দেশে লকডাউনের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল মাঝরাত পর্যন্ত হলেও, এসব এলাকা সিল করা থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.