Advertisement
Advertisement
Indore

লকডাউনের প্রতিবাদে ইংরাজিতে তোপ, পিএইচডি পাশ ইন্দোরের ফল বিক্রেতাকে কুর্নিশ নেটিজেনদের

সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন বলেও অভিযোগ ওই যুবতীর।

A Woman Fruit Seller Who Holds A PhD Protests Indore's COVID Restrictions In Fluent English

রইসা আনসারি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 23, 2020 8:59 pm
  • Updated:July 23, 2020 8:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যের ফেরে মানুষ যে কখন কোনও অবস্থায় থাকে তা কেউ অনুমান করতে পারে না। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ফের তারই প্রমাণ দিল। একজন ফল বিক্রেতা যুবতীকে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেল বিশুদ্ধ ইংরাজিতে। সংবাদমাধ্যমে যার ভিডিও দেখে হতবাক হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ওই যুবতীর জীবনযুদ্ধের কাহিনী শুনে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ( Indore) শহরের মালওয়া মিল এলাকার বাজারে ফল বিক্রি করেন রইসা আনসারি নামে ওই যুবতী। বুধবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের সরকার পরিকল্পনা ছাড়াই ইন্দোরের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে লকডাউন (lockdown) জারি করছে তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লকডাউন করার ফলে সবজি ও বিক্রেতার ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এবিষয়ে তিনি স্থানীয় কালেক্টার ও পুরসভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সমালোচনা করেন। তাঁদের পরিকল্পনার অভাবেই গরিব ব্যবসায়ীরা ফল ভোগ করছেন বলেও অভিযোগ জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নিজের ক্ষোভ কথা ঝরঝরে ইংরাজিতে বলেন তিনি। যা দেখে তাঁর আশপাশে প্রচুর লোকও জমে যায়। যাঁদের মধ্যে অনেককেই রইসার সমর্থনে ঘাড় নাড়তে দেখা গিয়েছে ভিডিওতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাস্ক না পরলেই ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ ঝাড়খণ্ডের ]

এরপরই রইসাকে তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তার উত্তরে রইসা জানান, পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করার পর ২০১১ সালে ইন্দোরের দেবী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেটেরিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করেন তিনি। তারপর অনেক চেষ্টা করলেও কেউ তাঁকে চাকরি দেয়নি। মুসলিম বলে কেউ তাঁকে চাকরি দিতে চায়নি বলেও অভিযোগ করেন। আরও জানান, তাঁর বাবার ফলের ব্যবসা ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর কোনও চাকরি না পেয়ে ফলের ব্যবসাই শুরু করেন রইসা। বলেন, আমার নাম রইসা আনসারি বলেই কেউ চাকরি দিতে চায়নি।

[আরও পডুন: কীসের স্বাস্থ্যবিধি? নিয়ম ভেঙে জনসভা শিবরাজের মন্ত্রীর, ৭ দিন পরই কোভিড পজিটিভ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement