সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলফি তোলার নেশাতেই প্রাণ গেল মা ও মেয়ের৷ মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে ঝরনার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়েই নদীতে পড়ে যান তাঁরা৷ বেশ কিছুক্ষণ পর ওই নদী থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়৷
মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরের স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে নিয়ে থাকেন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর ডি গুপ্তা৷ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মন্দসৌরে একটি ঝরনায় বেড়াতে যান তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী বিন্দু এবং মেয়ে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে গিয়েছিলেন প্রত্যেকেই৷ মাত্র বছর বাইশের মেয়ের প্রায় প্রতি মুহূর্তেই সেলফি তোলার নেশা৷ ঝরনা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেনি তরুণী৷ স্মার্টফোন হাতে শুরু হয়ে যায় ছবি তোলা৷ মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে একাধিক পোজে সেলফিও তোলে ওই তরুণী৷
কিন্তু আচমকাই ঘটল বিপদ৷ জলের তোড়ে ভেসে যায় মা এবং মেয়ে৷ নদীতে পড়ে যান দু’জনেই৷ স্ত্রী এবং মেয়েকে ভেসে যেতে দেখে চিৎকার করতে থাকেন আর ডি গুপ্তা৷ তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল৷ শুরু হয় উদ্ধারকাজ৷ একে একে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করেন তাঁরা৷ ততক্ষণে যদিও মারা গিয়েছেন দু’জনেই৷
তার কয়েকঘণ্টা আগে মন্দসৌরে বছর পঞ্চাশের বাপুলাল ধাকাদ নামে এক ব্যক্তিও নদীতে তলিয়ে যান৷ পেশায় দুধ বিক্রেতা ওই ব্যক্তিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ মন্দসৌরের পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে চলা বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তাপ্তি, নর্মদা, চম্বল, পার্বতী নদী৷ জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি৷ প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এই অবস্থায় আমরা পর্যটকদেরও সাবধান করেছি৷’’ প্রায় প্রতিবছরই বন্যার সময় নিঃস্ব হয়ে যান নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা৷ তাই ক্ষুব্ধ প্রত্যেকেই৷ পুনর্বাসনের দাবিতে দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.