সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশ দূষণ, দেশে বাড়তে থাকা দুর্নীতি এবং জনসংখ্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল মেয়েটা। তবে কাউকে সে কথা বলত না সে। বাবা-মাও ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে পারেননি ষোড়শী কন্যার দুশ্চিন্তার কথা। কারণ, বরাবরই বড় চাপা স্বভাবের সে। নিজের বইখাতা, পড়াশোনার বাদে আর পাঁচজন ষোড়শীর মতো কোনওদিকেই নজর ছিল না তার। কিন্তু যার মাথায় সংসারের এত কিছু ভাবনাচিন্তা, সে কী আর শান্ত থাকতে পারে? তাই তো মানসিক অস্থিরতা ক্রমশ বাড়াচ্ছিল উদ্বেগ। আর তার জেরে শেষমেশ আত্মহত্যারই সিদ্ধান্ত নিল কিশোরী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) উদ্দেশ্য করে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছে সে।
বছর ষোলোর ওই কিশোরী উত্তরপ্রদেশের সম্বলের বাসিন্দা। বেসরকারি স্কুলের ওই ছাত্রী স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধেয় নিজের ঘরেই ছিল। বাবা-মা ছিলেন ঠিক তার পাশের ঘরে। সকলে ভেবেছিলেন মেয়ে হয়তো পড়াশোনায় মগ্ন। আচমকাই ঘর থেকে ভেসে এল গুলির শব্দ। দৌড়ে গেলেন বাবা-মা। ঘরের ভিতর তাকিয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার জোগাড় তাঁদের। দেখেন ঘরে পড়ে রয়েছে বাবার লাইসেন্সড বন্দুক। পড়ার টেবিলে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কিশোরী। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
ঠিক কী কারণে আত্মঘাতী হল কিশোরী? তারই কোনও প্রমাণের খোঁজে তার পড়ার টেবিল তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়। সেখান থেকে পাওয়া যায় একটি ১৮ পাতার সুইসাইড নোট। তাতেই লেখা রয়েছে দূষণ, দেশে বাড়তে থাকা দুর্নীতি এবং জনবিস্ফোরণ নিয়ে আশঙ্কার কথা। সেই আশঙ্কার ফলে মানসিক উদ্বেগ এবং সে কারণেই ওই কিশোরী জীবন শেষ করে দিতে চাইছে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে লেখা সুইসাইড নোটেও উল্লেখ করেছে সে। এদিকে, মেয়ের আত্মহত্যার পর থেকে নিজেদের সামলাতে পারছেন না তার অভিভাবকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.