Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুঠার

ছাত্রের গলায় কুঠার, কাশ্মীরি শিক্ষকের ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল

ভিডিওয় শিক্ষকের আচরণে মানসিক ভারসাম্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷

A teacher threats student by putting axe to his throat,video goes viral

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 3, 2019 3:45 pm
  • Updated:July 3, 2019 3:45 pm  

মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: শিক্ষক নাকি কসাই! সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওয় কাশ্মীরি শিক্ষকের কাজ দেখে এই প্রশ্নই উঠছে৷ জম্মু-কাশ্মীরের হান্দওয়াড়ার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের আচরণ পুরোপুরি উন্মাদের মতো, যা দেখে শিউড়ে উঠছেন পড়ুয়া, অভিভাবক-সহ সাধারণ মানুষ৷ ছোট ছাত্রের গলায় রীতিমত কুঠার ঠেকিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন ‘স্যার’৷ বলছেন, আচরণ ঠিক না করলে তিনি হত্যা করবেন৷ ভিডিওটি স্বভাবতই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে৷

[আরও পড়ুন: ‘নষ্ট হয়ে গেছি’, সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী আইআইটি হায়দরাবাদের মেধাবী ছাত্র]

ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, হান্দওয়াড়ার ওয়াগত গ্রামের ব্রাইট ফিউচার এডুকেশন ইনস্টিটিউট নামে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বেশ কয়েকজন ছাত্রকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে আটকে রেখেছেন৷ তাদের প্রত্যেকের বয়সই দশের আশেপাশে৷ তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে মেঝেতে শুইয়ে তার গলায় একটি কুঠার ধরে রেখেছেন৷ এমনভাবে কুঠারটি তিনি ঘোরাফেরা করাচ্ছেন যে মনে হচ্ছে এক্ষুণি বোধহয় তা চালিয়ে দেবেন৷ ‘স্যার’এর এই রূপ দেখে আতঙ্কিত কচি পড়ুয়া তারস্বরে চিৎকার করছে৷ তীব্র আতঙ্কে রয়েছে অন্য পড়ুয়ারাও৷ আর তখনই শিক্ষক হুমকির সুরে বলছেন, ‘চোখ বন্ধ করো, আমি এখুনি ওকে জবাই করব’৷ ব্যাপারটা শারীরিক থেকে মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে৷

Advertisement

শিক্ষকের এই আচরণের ভিডিও ভাইরাল হতেই আরও অনেক কিছু নজরে পড়েছে নেটিজেনদের৷ দেখা গিয়েছে, ভরা গ্রীষ্মেও ফিরান অর্থাৎ শীতে শরীর গরম লাগার পোশাক পরে রয়েছেন ওই শিক্ষক৷ তার উপরে আবার সোয়েটার রয়েছে৷ এছাড়া তাঁর কথাবার্তাও অত্যন্ত অসংলগ্ন৷ নাহলে শিক্ষক হয়ে কেউ এমন কাজ করে! এতেই তাঁর মানসিক ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মন্দির, রিপোর্ট তলব শাহর]

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শিক্ষককে নিয়ে হাজারও প্রশ্ন উঠেছে৷ নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসনও৷ ছোট ছোট বাচ্চাদের মনের উপর এমন চাপ তৈরি করার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ এছাড়া তাঁর কার্যকলাপও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়৷ কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত কি না, ছোটদের জেহাদের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করার কোনও কৌশল চালাচ্ছেন কি না, এসব প্রশ্নও উঠছে৷ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে সবটা জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন, এমন শিক্ষকের হাতে মোটেই নিরাপদ নয় পড়ুয়ারা৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে স্কুলকে ব্যবস্থা নিতে হবে৷

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement