সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুল হোক বা চাকরি কিংবা নাগরিক পরিচয়পত্র, সবখানে ব্যক্তির জাত ও ধর্মের উল্লেখ করতে হয়। এমনটাই নিয়ম। সেই কারণেই সাড়ে তিন বছরের ভিলমার স্কুলে ভরতি আটকে যাচ্ছিল বারবার। কারণ তার বাবা-মা নরেশ কার্তিক ও গায়েত্রী জেদ ধরেছিলেন, সন্তানের জাত-ধর্ম পরিচয় উল্লেখ করবেন না স্কুলে ভরতির ফর্মে। অবশেষে সেই লড়াই জিততে চলেছেন তাঁরা। কারণ এতদিনে শিশু ভিলমার সরকারি ‘জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র’ (No Religion, No Caste Certificate) হাতে পেয়েছেন তাঁরা।
নরেশ কার্তিক তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। প্রথম থেকে তিনি ভেবে রেখেছিলেন তাঁর সন্তানের কোনও জাত বা ধর্ম পরিচয় থাকবে না। স্ত্রী গায়েত্রীও এই বিষয়ে একমত। কিন্তু এই কারণেই ভিলমার স্কুলে ভরতি হওয়া নিয়ে বিস্তর ঝামেলা হয়। কারণ প্রায় সব স্কুলের ভরতির ফর্মে পড়ুয়ার ধর্ম ও জাত উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। নরেশ জানান, স্কুলগুলি বলে, ধর্ম ও জাত উল্লেখ করতে হবে, নচেত ভরতি নেওয়া যাবে না। যদিও ১৯৭৩ সালের তামিলনাড়ু সরকারের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, স্কুলে ভরতির ক্ষেত্রে জাত-ধর্ম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক নয়।
নরেশ বলেন, “আমাদের সন্তানের কাছে ঈশ্বর মানে ভালবাসা, আর ভালবাসা মানে সাম্য, সকলের অধিকার। পড়ুয়াদের ভালবাসা আর সমতার শিক্ষা দেওয়া উচিত স্কুলগুলির।” নরেশ আরও বলেন, “অনেকেই জানেন না যে জাত-ধর্মহীন শংসাপত্র পাওয়া যায়। আশা করি অন্য অভিভাবকরাও এবার এই শংসাপত্র গ্রহণ করবেন। যারা আমার মতো গভীর ভাবে বিশ্বাস করেন- ঈশ্বর আসলে ভালবাসা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.