Advertisement
Advertisement

মঞ্চে CAA বিরোধী নাটক, কর্ণাটকের স্কুলের বিরুদ্ধে দায়ের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

A school of Karnataka booked for sedition for staging anti-CAA play
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 29, 2020 9:57 am
  • Updated:January 29, 2020 9:57 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এবার স্কুলের বিরুদ্ধে উঠল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। কর্ণাটকের বিদার জেলায় একটি স্কুলে সম্প্রতি CAA’র বিরুদ্ধে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে। তারপরই স্কুলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা।

গত ২১ জানুয়ারি কর্ণাটকের বিদার জেলার শাহিন এডুকেশন ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা একটি নাটক মঞ্চস্থ করে। নাটকের বিষয় ছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জি। নাটকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পর থেকেই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিউ টাউন থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ জমা পড়ে। নীলেশ রক্সওয়াল নামে এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেছেন, নাটকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ওই স্কুল। CAA ও NRC নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর অভিযোগেও উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া মহম্মদ ইউসুফ রহিম নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। তিনিই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টে নির্ভয়ার ধর্ষক ]

অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহিন এডুকেশন ইন্সটিটিউটের সিইও থাউসেফ মাধিকেরি। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টকে তিনি বলছেন, “এর ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছে। স্কুলের কন্ট্রোল রুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জেরা করছে পুলিশ। পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা নাটক করেছিল। কেউ তার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। এখন আমাদের উপর হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে। প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রুপ করার অভিযোগ উঠছে।” স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আদালতের থেকে জামিন নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নাটকের যে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের বলতে শোনা গিয়েছে, “সরকার মুসলিমদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। আমাদের বাবা-মা ও প্রপিতামহদের যাবতীয় তথ্য দেখাতে বলছে। যদি আমরা না পারি, ওদের নির্দেশ মতো আমাদের দেশ ছেড়ে তলে যেতে হবে।” ভিডিওর শেষে একটি কবিতাও আবৃত্তি করে তারা। বরুণ গ্রোভারের লেখা সেই কবিতাটি ছিল, ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের হয়।

[ আরও পড়ুন: ‘তিহার জেলে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছি’, সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক নির্ভয়ার ধর্ষক ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement