সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানাটানির সংসার৷ দুবেলা দুমুঠো পেটভরা খাবার জোটাই দায়৷ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে৷ খুব বেশি হলে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা বিদ্যুতের বিল আসে৷ অথচ ওই পরিবারেই বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা৷ বিপুল অঙ্কের বিল মেটাতে না পারায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে৷ বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন ওই পরিবারের সদস্যরা৷
দিল্লি থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরের উত্তরপ্রদেশের হাপুরের চামরির বাসিন্দা শামিম৷ শুধু আলো, পাখা ছাড়া আর কিছুই নেই তাঁর বাড়িতে৷ প্রতি মাসে খুব বেশি হলে ৭০০ কিংবা ৮০০টাকা বিদ্যুতের বিল আসে তাঁদের৷ কিন্তু চলতি মাসে তাঁদের বিল এসেছে ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা৷ শুধুমাত্র আলো এবং পাখা চালিয়ে কীভাবে এত টাকা বিল আসতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারছেন না শামিম এবং তাঁর স্ত্রী৷ মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই ওই দম্পতির৷ তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তর তাঁদের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে৷ এ বিষয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ বলেন, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই বিল এসেছে। পুরনো একটি বিল নিয়ে এলে টাকার অঙ্ক ঠিক করে দেওয়া হবে৷’’
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার ভুল অঙ্কের বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে৷ গত জানুয়ারি মাসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বসিত। ২৩ কোটি টাকার বিল পাঠানো হয়েছে তাঁকে। বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল হাতে পেয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও নতুন কিছুই নয়৷ এর আগে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে সবজি বিক্রেতার কাছে ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছিল৷ এরপরই আত্মহত্যা করেছিলেন ওই সবজি বিক্রেতা৷ এই অভিযোগে বিদ্যুৎ দপ্তরের অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
Hapur: A resident of Chamri has received an electricity bill of Rs 1,28,45,95,444. He says “No one listens to our pleas, how will we submit that amount? When we went to complain about it,we were told that they won’t resume our electricity connection unless we pay the bill.”(20.7) pic.twitter.com/2kOQT8ho36
— ANI UP (@ANINewsUP) July 20, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.