সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) একটি স্কুলের শৌচালয় পরিস্কার করানো হল খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে! অভিযোগ, জোরপূর্বক ছাত্রদের দিয়ে এই কাজ করান খোদ ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। নিন্দায় সরব হয়েছে শিক্ষামহল থেকে নেটিজেন। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার (Ballia) পিপরা নামের একটি গ্রামে রয়েছে ওই প্রাথমিক স্কুল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নাবালক ছাত্রদের দিয়েই শৌচালয় পরিষ্কার করানো হচ্ছে। দাঁড়িয়ে থেকে সেই কাজ করাচ্ছেন খোদ প্রধান শিক্ষক। ভিডিওতে দেখা যায়, ছাত্রদের প্রধান শিক্ষক সতর্ক করে দিচ্ছেন, ভাল করে শৌচালয় পরিষ্কার না করলে বাড়িতে গিয়ে শৌচকর্ম করতে হবে। এই ভি়ডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, নাবালক ছাত্রদের কীভাবে শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো হয়? এই জন্যই কি তাদের স্কুলে পাঠান অভিভাবকরা?
বিতর্ক দানা বাধতে অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন। এই বিষয়ে ব্লক শিক্ষা আধিকারিক অখিলেশ কুমার ঝা বলেছেন, আমরা ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করব। যদি এই ঘটনা বাস্তবেই ঘটে থাকে তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Primary School Students Made To Clean Toilet by Principle in Ballia, Uttar Pradesh.
The incident was reported from Pipra Kala Primary School of Sohav Block in Ballia. pic.twitter.com/oYaqqBhFJA
— Ahmed Khabeer احمد خبیر (@AhmedKhabeer_) September 8, 2022
একাধিক রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলের দৈন্যদশা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিও করে সে নিজের স্কুলের বেহাল দশা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। এমনকী আসরে নামলেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী। যদিও এই কাজ করায় শিক্ষকদের রোষাণলে পড়ে ছাত্রটি। দেখা যায় ওই স্কুলে টিউবওয়েলের লাইন করা হয়েছে, কিন্তু কল লাগানো হয়নি। ফলে জল নেই স্কুলে। গোটা স্কুল চত্বর ঘন জঙ্গলে ভরতি। শৌচাগারের অবস্থা ভয়াবহ। প্রয়োজনে বাইরে শৌচকর্মে যেতে হয় পড়ুয়াদের। শ্রেণিকক্ষের অবস্থাও তথৈবচ। ঢোকে না আলো-বাতাস। সর্বক্ষণ খসে পড়ছে পলেস্তরা। মাথার উপরে ঝুলছে সাক্ষাৎ বিপদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.