ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। মন্দির চত্বরে বসে মদ ও মাংস খাওয়ার অভিযোগে পিটিয়ে খুন করা হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পিলভিট এলাকার এক মন্দিরের পুরোহিতকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাবা ঋষিগিরি ওরফে মদনলাল নামের এই পুরোহিত নাভাদিয়া জিঠনিয়া গ্রামের একটি শিব মন্দিরে থাকতেন। রবিবার সকালে স্থানীয়রা পুজো দিতে এসে পুরোহিতকে দেখতে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করে দেন। সরজিৎ সিং নামে এক ব্যক্তি আমারিয়া থানায় পুরোহিতের নামে মিসিং ডায়েরিও করেন। খোঁজ করতে নেমে পুলিশ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাসুলা গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত রাস্তার ধারে নিথর দেহ খুঁজে পায়। বাবা ঋষিগিরের দেহ হিসাবে শনাক্ত করেন তাঁরই স্ত্রী কলাবতী। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানেই দেখা যায়, পুরোহিতকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছে লালারাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় লালারাম। আরও দু’ জনের নাম বলে সে। জানা যায়, লালারামের সঙ্গে ছিল ধনরাজ এবং মুখিয়া নামের আরও দুই ব্যক্তি। তারাই পুরোহিত বাবা ঋষিগিরিকে পিটিয়ে খুন করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় অভিযুক্ত লালারাম। তার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মন্দির চত্বরে বসে মদ্যপান করতেন বাবা ঋষিগিরি। মাংসও খেতেন। বহুবার নিষেধ করা হলেও কথা শোনেননি। এরপরেই তারা পরিকল্পনা করে ঋষিগিরিকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবে। সেই মতো ছকে ফেলে পরিকল্পনাও। নিজেরাই পুরোহিতের জন্য মদ ও মাংস নিয়ে আসে। সেই মদ ও মাংস খাওয়া শুরু হতেই পুরোহিতকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে লালারাম ও তার সঙ্গীরা। প্রাণ বাঁচাতে জখম অবস্থাতেই পালানোর চেষ্টা করেন পুরোহিত ঋষিগিরি। তাঁর পিছু ধাওয়া করে বেশ কিছুদূর গিয়ে অভিযুক্তরা দেখে পুরোহিতের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে রাস্তায়। পুরোহিত ঋষিগিরিকে প্রাণে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়তো তাদের ছিল না। তাই তাঁর মৃতদেহ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় তিনজন। তাই দেহটিকে রাস্তার ধারে ফেলেই চম্পট দেয় তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.