সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেও অব্যাহত মাওবাদী হানা। শুক্রবার রাতে ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলায় মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনায় ৪ মাওবাদী নিহত হয়েছে। শহিদ হয়েছেন এক পুলিশকর্তা।
শনিবার সকালে প্রকাশ পেয়েছে এই খবর। এক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ছত্তিশগড়ের কাছে মানপুর থানার সীমান্তবর্তী পারধনি গ্রামের কাছে মাওবাদীরা লুকিয়ে ছিল। গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। এরপরই তারা ওই গ্রামে হানা দেয়। পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে গ্রামের ভিতর থেকেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে লড়াই। এনকাউন্টারে ৪ মাওবাদীকে পুলিশ খতম করেছে। তবে মাওবাদীদের গুলি লাগে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের গায়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনন্দগাঁওয়ের সহকারী পুলিশ সুপার জি এন বাঘেল জানিয়েছেন, “চার মাওবাদীর মৃতদেহ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি এসএলআর অস্ত্র এবং দুটি .৩১৫ বোর রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।”
One Police Sub Inspector (SI) lost his life and 4 naxals killed in an encounter near Pardhoni village under Manpur police station limits. Bodies of the 4 naxals, 1 AK-47 rifle, 1 SLR weapon and two .315 bore rifles recovered: GN Baghel, ASP Rajnandgaon #Chhattisgarh https://t.co/aEI2XgvTyE pic.twitter.com/OErfVUshNF
— ANI (@ANI) May 9, 2020
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষের দিকে মাওবাদী ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে প্রবল গুলির লড়াই হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুকমা জেলার জঙ্গল ও পার্বত্য এলাকা এলামগুন্ডার কাসালপাডের চিন্টাগুফার কাছে। প্রায় ১২ ঘণ্টা সেই গুলি লড়াইয়ে ১৪ জন জওয়ান গুরুতর জখম হন। নিখোঁজ হন আরও ১৭ জন। জখম নিরাপত্তা রক্ষীদের এয়ারলিফটের মাধ্যমে রায়পুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাড়িতে গিয়ে, দেখা করে পরিস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ দেন ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজি ডিএম অবস্তি। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। সেদিনই দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলের কিছুটা দূর থেকে ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.