Advertisement
Advertisement

চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত পাক আমলাকে ফেরত পাঠাল দিল্লি

অফিসার পদের আড়ালে আসল কাজ ছিল চরবৃত্তি৷

A Pakistan High Commission officer has been asked to leave India over alleged espionage
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 27, 2016 1:40 pm
  • Updated:January 6, 2020 4:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক হাই কমিশনের এক উচ্চপদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধে উঠল চরবৃত্তির অভিযোগ৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন নথিপত্র পাক সেনাকর্তাদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার স্পষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ চরবৃত্তির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে মহম্মদ আখতার (৩৫) নামে ওই অফিসারকে আটক করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই কূটনৈতিক রক্ষাকবচের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে৷

অভিযোগ, ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ও বিএসএফ, সেনাবাহিনীতে নিয়োগ সংক্রান্ত গোপন নথি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতেন তিনি৷ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েই গোয়েন্দারা আখতারকে আটক করেন৷ এই ঘটনার পরেই পাক হাই কমিশনার আব্দুল বাসিতকে তলব করেছে বিদেশমন্ত্রক৷ ভারত-পাক সীমান্তে পাকিস্তানের লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙঘন ও পাকিস্তানের দূতাবাসের কর্মীরা কোন কোন তথ্য ইসলামাবাদকে পাঠিয়েছে তা জানতে চেয়ে বাসিতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়৷ একইসঙ্গে অভিযুক্ত অফিসারকে দ্রুত ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

Advertisement

spy-2_web

এদিন গ্রেফতারির পর ধৃত অফিসারকে নিজেদের হেফাজতে নেয় আইবি৷ তাঁর কাছে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি ছিল বলে খবর৷ তবে আখতারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির প্রমাণ পেয়েও ছেড়ে দিতে বাধ্য হন গোয়েন্দা কর্তারা৷ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও দেশের হাই কমিশনের কর্মীর কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায় না৷ পাকিস্তানের এই গুপ্তচরের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জংকে জানিয়েছেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা৷ জানা গিয়েছে, দিল্লিতে বসেই ‘স্পাই’-এর কাজ চালাতেন আখতার৷ পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের অভিযোগে রাজস্থান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ মৌলানা রমজান ও সুভাষ জঙ্গির নামে ওই দুই পাক চরকে জেরা করেই আখতারের কীর্তির কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা৷ আখতার বেশ কয়েকজনকে চরবৃত্তির কাজে নিয়োগ করেছিলেন৷ এরপর গত ছ’মাস ধরে আখতারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল দিল্লি পুলিশ৷

গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের উরির সেনা ছাউনিতে পাক জঙ্গিদের হামলা ও তারপর ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে৷ সীমান্তে পাক রেঞ্জারের লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙঘন ও গোলাবর্ষণের ঘটনায় ক্রুদ্ধ নয়াদিল্লি৷ এই উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যে পাক হাই কমিশনার আব্দুল বসিতের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মহম্মদ আখতারের চরবৃত্তির প্রমাণ হাতে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কূটনৈতিক মহলে৷ ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন্ নাশকতা বা ভারতের গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পাক সরকার যে আইএসআই-এর সাহায্য নিচ্ছে তা ফের প্রমাণ হল এই ঘটনায়৷ পাকিস্তানের সরকারি অফিসার কূটনৈতিক রক্ষাকবচকে হাতিয়ার করে ভারতের প্রতিরক্ষা ও সেনাবাহিনী সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ইসলামাবাদে পাচার করতেন৷ এই ঘটনায় পাক হাই কমিশনার বাসিতের মদত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা৷ ইতিমধ্যেই আখতার কী কী তথ্য পাকিস্তানকে দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা চালাচেছন অফিসাররা৷ দিল্লিতে পাক কমিশনের অফিসে আর কোনও ‘অফিসার-চর’ রয়েছেন কি না তাও দেখা হচ্ছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement