Advertisement
Advertisement

Breaking News

Minor boy tied to tree

‘ঈশ্বরের’ বাদাম খাওয়ায় শাস্তি পুরোহিতের! দলিত বালককে গাছে বেঁধে মার

পুরোহিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

A Minor boy tied to tree, beaten by temple priest for taking almonds kept as offering | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 10, 2022 9:40 pm
  • Updated:September 10, 2022 10:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলিত বালককে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল এক মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে। বছর এগারোর ওই বালক ‘ঈশ্বরের’ জন্য রাখা বাদাম খেয়ে ফেলায় তাকে গাছে বেধে শাস্তি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও বাচ্চাটির পরিবার দাবি করেছে, বাদাম খাওয়ার জন্য নয়, নীচু জাতের ছেলে মন্দিরে ঢুকতেই ক্ষিপ্ত হয় পুরোহিত। নাবালককে গাছে বেধে রাখা হয়। মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দায় সরব হয়েছে নেটদুনিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর শনিবারে এই ঘটনা ঘটে ওই রাজ্যের সাগর জেলায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাকেশ জৈন। জৈন সিদ্দায়তন মন্দিরের পুরোহিত তিনি। যে ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, গাছে বাঁধা রয়েছে বাচ্চাটিকে, ওই অবস্থায় সে কান্নাকাটি করছে। সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন অভিযুক্ত পুরোহিত রাকেশ জৈন। ছোট ছেলেটিকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বাচ্চাটির দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র না হলে ভোটাধিকার নয়, সরব ফারুক আবদুল্লা, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা]

অভিযুক্ত জৈন মন্দিরে পুরোহিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত বালকের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুরোহিত রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামাল দায়ের করা হয়েছে। দলিত বালকটির বাবা জানিয়েছেন, আদৌ ‘ঈশ্বরের’ জন্য রাখা বাদাম খায়নি তাঁর ছেলে। নীচু জাতের ছেলে বলেই তাকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘রাহুল বাবা, আগে এদেশের ইতিহাসটা পড়ুন’, সোনিয়াপুত্রকে তোপ অমিত শাহর]

দেশের একাংশে দলিত ভাবনা আজও অব্যাহত। ক’দিন আগে রাজস্থানে দলিত (Dalit) ছাত্রীদের পরিবেশন করা মিড ডে মিল পড়ুয়াদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে জড়ান জনৈক রাঁধুনি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত লালা রাম গুর্জর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাঁধুনির কাজ করেন। তাঁর রান্না করা মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্ব পড়েছিল ওই দুই দলিত ছাত্রীর উপরে। জানতে পেরে লালা রাম প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে যে পড়ুয়ারা ততক্ষণে খাবার পেয়ে গিয়েছে, তাদের খাবার ছুঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিতে থাকেন তিনি। তাঁর নির্দেশ শুনে পড়ুয়ারা খাবার ছুঁড়ে ফেলেও দেয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement