সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী, শ্যালিকা এবং নিজেরই ৩ শিশুসন্তানকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নজিরবিহীন এই হত্যাকাণ্ড। দুই তরুণীর পাশপাশি দশ বছরের কম বয়সি তিন শিশুকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে আসামি। সেকথা মাথায় রেখেই চরম শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাই কোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাইলুরু থিপাইয়া পেশায় দিনমজুর। বারো বছরের দাম্পত্যের পর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে তাঁর সন্দেহ হয়। যুগলের চার সন্তান রয়েছে। যদিও থিপাইয়া দাবি করেন, এর মধ্যে একটি সন্তান তাঁর। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে বাকি সন্তানদের জন্ম হয়েছে। এই নিয়েই চরম অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বচসার পর মেজাজ হারিয়ে ধারাল চপার দিয়ে স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে উপরে হামলা চালায় থিপাইয়া। কুপিয়ে হত্যা করে তাদের। এরপর দশ বছরেরও কম বয়সি নিজেরই তিন শিশুসন্তানকে হত্যা করেন।
হত্যাকাণ্ডের মামলা ওঠে নিম্ন আদালতে। একাধিক প্রামাণ্য নথি এবং ৩৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে ২০১৯-এর ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড হয় দোষী সাব্যস্ত বাইলুরু থিপাইয়ার। ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। এরপর কর্ণাটক হাই কোর্টে আবেদন করেন থিপাইয়া। যদিও সেখানেও বদলাল না রায়। গত বছর ২২ নভেম্বর শুনানি সমাপ্ত হলেও সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। শনিবার বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজ এবং জি বাসবরাজা চরম শাস্তি ঘোষণা করলেন। সাজা ঘোষণার সময় বিচারপতির বেঞ্চ মন্তব্য করে, “ভয়ংকর অপরাধের ফলে দশ বছরের কম বয়সি ৩ শিশু-সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে নৃশংসতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, আমাদের বিচারে তার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ভারী হৃদয়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আদালত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.