সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্যবাদীরা বলে থাকেন, নিযতি থাকলে আটকানো যায় না। মৃত্যু হবেই। কতকটা যেন তেমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাই ঘটে গেল কেরলে (Kerala)। স্কুটার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক প্রৌঢ়কে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো গেল না। বেকায়দায় অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা আটকে গিয়ে হল ভয়ানক বিপত্তি। কিছুতেই সেই দরজা খুলে আহতকে গাড়ি থেকে বের করা যায়নি। ফলে হাসপাতালে পৌঁছেও বিনা চিকিৎসায় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই মৃত্যু হল আহতের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেলের দিকে। কোঝিকড়ের (Kozhikode) সরকারি হাসপাতালের ঘটে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মৃত প্রৌঢ়ের নাম কোয়ামোন (৬৬)। তিনি স্থানীয় ফেরোকে (Feroke) এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিকেলে স্কুটার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে কোঝিকড়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু বিপত্তি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হাজার চেষ্টাতেও অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও তাঁর সঙ্গী গাড়ির দরজা খুলতে পারছিল না। কোনও ভাবে দরজাটি শক্তি হয়ে আটকে যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দরজা খোলার চেষ্টা চালায় চালক ও তাঁর সঙ্গী যুবক। বহু লোক জড়ো হয়ে যান ঘটনাস্থলে। শেষ পর্যন্ত তাঁরাই অ্যাম্বুল্যান্সের দরজার কাঁচ ভেঙে ভেতর থেকে তা খুলে ফেলেন। যদিও ততক্ষণ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মানুষটির মৃত্যু হয়েছে।
ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একটি পুলিশ চৌকি রয়েছে। এই বিষয়ে সেখানকার পুলিশের বক্তব্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন কোনও ঘটনার কথা তাদের জানায়নি। যদিও রাজ্যজুড়ে দুর্ভাগ্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেরই বক্তব্য আদতে গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সটির ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ হত না বলেই সেটির দরজা বেকায়দায় আটকে যায়। ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি স্থানীয় পৌর প্রশাসনের কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ (Veena George) ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.