সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ বছরের শিক্ষক জীবনে ৬০ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে কেরলের (Kerala) এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা সিপিএম (CPM) নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্ত স্থানীয় পুরনিগমের কাউন্সিলরও ছিলেন। সম্প্রতি একের পর এক ছাত্রী অভিযোগ তোলায় চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন তিনি। অন্যদিকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালাপ্পুরম জেলা-সহ গোটা রাজ্যে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে #MeToo আন্দোলনও। ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের শিক্ষামন্ত্রী।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কেভি শশীকুমার। তিনি সেন্ট জেমস গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল (St. Gemmas Girls Higher Secondary School ) থেকে চলতি বছরের মার্চ মাসে অবসর নেন। অবসর গ্রহণের কথা ঘটা করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টের নীচে স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ছাত্রী একই অভিযোগে মন্তব্য করতে থাকেন। শুরু হয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক #MeToo অভিযোগ।
এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মালাপ্পুরম মহিলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও জানা গিয়েছে, স্কুলে কর্মরত অবস্থায় সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ৫০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়াদের সংগঠনের অভিযোগ, ২০১৯ সালেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল ছাত্রীরা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তারা বিষয়টি চেপে যায়। এদিকে সাম্প্রতিক ঘটনায় মালাপ্পুরম পুরনিগমের কাউন্সিলর পদ ত্যাগ করেছেন ওই প্রাক্তন শিক্ষক। ঘটনায় দলের মুখে কালি পড়ায় দল থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নতুন করে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ওই শিক্ষক পলাতক হন বলেও জানা গিয়েছিল। যদিও এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে গোটা ঘটনায় মুখ পুড়েছে কেরলের শাসক দল সিপিএমের। তড়িঘড়ি শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি আসরে নামেন। গোটা বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী পাবলিক এডুকেশন ডিরেক্টরকে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.