Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hate Speech

কোরান নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, কর্ণাটকে ঘৃণা ভাষণের দায়ে হিন্দুত্ববাদী নেতার বিরুদ্ধে মামলা

কী এমন বলেছিলেন?

A Karnataka Right Wing Leader Charged For Hate Speech | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 7, 2022 1:32 pm
  • Updated:July 7, 2022 1:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর সংক্রান্ত মন্তব্যে এখনও উত্তপ্ত দেশ। এরমধ্যেই তথ্যচিত্র কালী (Kaali) নিয়ে নতুন অশান্তি শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ঘৃণা ভাষণের দায়ে কর্ণাটকে (Karnataka) পুলিশ গ্রেপ্তার করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এক নেতাকে। উদয়পুরের (Udaipur) কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সভায় কোরান (Quran) ও মুসলিম সম্প্রদায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নেতার নাম কেশব মুর্তি (Keshav Murthy)। হিন্দু জাগরণ বৈদিকের (Hindu Jagaran Vedike) আহ্বায়ক তিনি। কেশবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অঞ্জুমন-ই-ইসলামিয়ার (Anjuman-e-Islamia) প্রেসিডেন্ট জমির আহমেদ। গত ১ জুলাই কানহাইয়া লালের হত্যার প্রতিবাদে হিন্দুত্ববাদীরা একটি প্রতিবাদ সভা করে। অভিযোগ, সেখানে ঘৃণা ভাষণ দেন কেশব মুর্তি। বলেন, “কোরানে বলা হয়েছে মানুষকে খুন করো। আপনারা কী মনে করেন, অন্য কিছু করবে ওই সম্প্রদায়? যারা কোরান পড়ে তারা জঙ্গি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নূপুর শর্মা পয়গম্বরকে অপমান করেছে, আমি মা কালীকে সম্মান জানিয়েছি’, নিজের মন্তব্যে অনড় মহুয়া]

হিন্দুত্ববাদী নেতার এমন বক্তব্যের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন অঞ্জুমন ই ইসলামিয়ার প্রেসিডেন্ট জমির আহমেদ। কেশব মূর্তির বিরুদ্ধে ১৫৩ (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা), ১৫৩বি (দাঙ্গায় উসকানি) ২৯৫এ-সহ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত) একাধিক ধারায় মামলা করেছে কর্ণাটক পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ট্রেন সফরে আরও সুখকর ‘অনুভূতি’, রাজধানী-শতাব্দীতে জুড়ছে বিমানের ধাঁচের কোচ

প্রসঙ্গত, রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা পেশায় দরজি কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করেছিলেন। তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার ভিডিও করে দুষ্কৃতীরা। অন্য একটি ভিডিওতে তারা নূপুর শর্মা ও নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি দেয়। ওই দিনই দুই অভিযুক্ত রিয়াজ আখতার ও গোস মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে রাজস্থান পুলিশ। পরে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নূপুর শর্মাকে সমর্থন করায় মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি খুন হন। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৭ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’টি হত্যাকাণ্ডেরই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এনআইএ (NIA)।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement