Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karnataka

কোন বিধায়কের ক’টা অবৈধ সম্পর্ক জানতে তদন্ত হোক, মন্ত্রীর দাবি ঘিরে বিতর্ক

কিছু দিন আগে কর্ণাটকের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে।

A Karnataka minister calling for an investigation into the personal life of MLAs to find out illicit or extra-marital relationships । Sangbad Pratidin

কে সুধাকর।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 25, 2021 4:53 pm
  • Updated:March 25, 2021 4:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে উত্তাল সে রাজ্যের বিধানসভা থেকে গোটা রাজনৈতিক মহল। তিনি নাকি দাবি করেন, ২২৫ বিধায়কেরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তদন্ত হোক। তাহলেই জানা যাবে কার ক’টি অবৈধ বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যা নিয়ে বুধবার থেকে কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটক বিধানসভাতেও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তার পর সুধাকর আবার দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর জন্য তিনি দুঃখিত।

অভিযোগ, এর আগে সুধাকর বলেন, “কংগ্রেস এবং জেডি(এস)-এর বিরোধী দলের নেতারা, যাঁরা নিজেদের মর্যাদা পুরুষ এবং শ্রীরামচন্দ্র বলে দাবি করেছেন তাঁদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ২২৫ বিধায়কই এই তদন্তের মুখোমুখি হোন। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কার কার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও এই তদন্ত হোক।” বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, কে কখন মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় কী করেছিলেন, সবার সব চরিত্র জানা যাবে, তদন্ত হোক। এই তদন্তের মধ্যে মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সব বিধায়ককেই আনা হোক। তিনি সরাসরি বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেডি (এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামীর নাম করে বলেন, “যদি সাহস থাকে তবে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করুন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে জাপানের কাছে সমুদ্রে আছড়ে পড়ল দু’টি মিসাইল]

ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের প্রথমের দিকে। সে সময় সুধাকরদের এক সহকর্মী রমেশ জারকিহোলি জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে তাঁকে যৌনতায় লিপ্ত থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। যদি ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেন রমেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন।

এই ঘটনার পর সম্প্রতি কর্ণাটকের ৬ মন্ত্রী আদালতের দ্বারস্থ হন। দাবি ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া কোনও খবর যেন সম্প্রচার না করা হয়। এই ধরনের খবর সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আদালত থেকে তাঁরা নিষেধাজ্ঞাও পেয়ে যান। এর পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন তোলেন বিরোধী কংগ্রেস নেতারা। নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী শিবরামন হেব্বার, কৃষিমন্ত্রী বিসি পাটিল, কোঅপারেশন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর, যুব ক্ষমতায়ন এবং ক্রীড়ামন্ত্রী নারায়ণ গৌড়া এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভারতী বাসবরাজের পদত্যাগও দাবি করে কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতেই এ কথা বলেন সুধাকর। যদিও শেষ পর্য্ত নিজেরের বক্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পাশ দিল্লি বিল, ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ দাবি কেজরিওয়ালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement