ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটগণনা কেন্দ্রে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অভব্যতার অভিযোগ এনে এক সাংবাদিককে আটক করার পর লক আপে ‘থার্ড ডিগ্রি’ অত্যাচারের অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্যে (Uttar Pradesh)। ৩৯ বছর বয়সি এবং হিন্দি দৈনিক ‘পাঞ্জাব কেশরী’র সাংবাদিক গৌরব বনশলকে শুধু নিগ্রহই করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
৯ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক পুলিশ (Police) আধিকারিক। তার আগের দিন কয়েকজন সঙ্গী-সহ ভোটগণনা কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম মেশিন সরিয়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছিলেন ওই সাংবাদিক। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুলিশ খারিজ করেছে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে সপ্তম দফা ভোটগ্রহণের পরেই ইভিএম মেশিন সরিয়ে ফেলার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। দলের কর্মীদের ভোটগণনা কেন্দ্রে পাহারা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি।
দায়ের করা অভিযোগে পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ইভিএম বদলে দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছিলেন বনশল। যার জেরে প্রচুর মানুষ জমা হয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাড়তি বাহিনী দরকার হয়ে পড়ে। অফিসারের দাবি, বনশল পুলিশকে গালিগালাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে অভব্যতাও করেন। যার জেরে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। পুলিশকে কাজে বাধাদানের অভিযোগও আনা হয়েছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
ওই সাংবাদিক (Journalist) এবং অন্যান্য ১৫ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য ধারাগুলির মধ্যে দাঙ্গা, হামলার জন্য ইতমাদৌলা থানায় মামলা করা হয়েছে। যদিও সাংবাদিকের আইনজীবী আধার শর্মার দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। নিজের কর্তব্য করার জন্য তাঁর মক্কেলকে নিশানা করেছে পুলিশ। তাঁর মক্কেলকে ‘থার্ড ডিগ্রি’ অত্যাচার করে নানাভাবে লাঞ্ছনা করা হয়েছে বলেও ওই আইনজীবীর দাবি। ১৫ মার্চ রাতে লক আপে বনশলকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয় বলেও
জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.