Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিল্লিতে সম্প্রীতি

অশান্তি থেকে নবদম্পতিকে বাঁচাতে ঢাল মুসলিম প্রতিবেশীরা, চাঁদবাগে সম্প্রীতির ছবি

'আমরা অশান্তি চাই না', বার্তা চাঁদবাগের বাসিন্দাদের।

A Hindu bride weds in muslim neighbourhood amid Delhi violence
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 28, 2020 12:44 pm
  • Updated:February 28, 2020 12:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে মেহেন্দি, গায়ে হলুদ নিয়ে ঘরে বসে ফুঁপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলেছেন বছর ২৩-এর সাবিত্রী। ইটের একফালি ঘরের বাইরে তখন ধর্মান্ধদের আষ্ফালন। উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদবাগের আকাশ ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়। এদিকে ২৪ ঘণ্টা পরেই সাবিত্রী প্রসাদের বিয়ে। তাঁর বাবা ভোদেয় প্রসাদ অবশ্য ভেবেছিলেন সাময়িক অশান্তি, সকাল হলেই থেমে যাবে। কিন্ত কোথায় কি! মঙ্গলবার সকাল থেকে হিংসা আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বুধবার বিয়ের আয়োজন কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সাবিত্রীর লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার উপক্রম হয়। কাঁদতে-কাঁদতে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন সাবিত্রী। শেষপর্যন্ত ত্রাতা হয়ে ওঠেন সাবিত্রীর মুসলিম প্রতিবেশীরা।

Advertisement

চাঁদবাগের মুসলিম পরিজনরা বরযাত্রীকে অশান্তির আগুন থেকে বাঁচিয়ে সাবিত্রীর বাড়ি নিয়ে আসেন। আবার বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁদেরই কড়া পাহারায় ছিল নতুন দম্পতি। অশান্তির জেরে বিয়েবাড়িতে আসতে পারেননি কোনও আত্মীয়। নবদম্পতিকে আশীর্ব্বাদ করলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা। দিল্লির উত্তর-পূর্ব অংশে যখন রক্তক্ষয়ী হিংসা চলছে, ঠিক তখনই এক নজিরবিহীন সম্প্রীতির সাক্ষি থাকল চাঁদবাগ।

[আরও পড়ুন : অশান্তি চলাকালীন ‘নিষ্ক্রিয়তা’র জের! দিল্লির পুলিশ কমিশনার বদল]

নববিবাহিত কনে সাবিত্রীর বাবা ভোদেয় জানান, “চারিদিকে শুধু কালো ধোঁয়া, অশান্তির আগুন। আমরা এসব চাই না। এঁরা আমার প্রতিবেশী নয়। হিন্দু-মুসলিম আমরা মিলেমিশে থাকি। আমরা সকলেই শান্তি চাই।” তিনি আরও জানান, পাত্রের পরিবারের তরফে তো জানিয়েই দিয়েছিল চারিদিকে যা পরিস্থিতি, তাতে বাইরে বের হওয়াই সম্ভব নয়। শেষপর্যন্ত রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ায় সাবিত্রীর মুসলিম প্রতিবেশীরাই।

[আরও পড়ুন : মার্চে টানা ৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, ভোগান্তি এড়াতে আজই সারুন গুরুত্বপূর্ণ কাজ]

এ প্রসঙ্গে সাবিত্রীর প্রতিবেশী আমির মালিন, আমিন ইকবালরা জানান, “সাবিত্রী আমাদের মেয়ের মতোন। ওঁকে ছোট থেকে দেখেছি। গায়ে হলুদ-মেহেন্দি পরা হয়ে গিয়েছিল, তারপরেও বিয়ে বাতিল হত। ওর যখন হাসিমুখে নতুন জীবন শুরু করার কথা, তখন ঘরে বসে কাঁদছিল মেয়েটা। মেয়ের কান্না কি কোনও বাবা সহ্য করতে পারে?” অশান্তি নিন্দা করে তাঁদের দাবি, “হিন্দু-মুসলিম  ভাইভাই। আমরা অশান্তি চাই না। কারা কেন অশান্তি করছে, তা আমরাও জানি না।” তবে চাঁদহবাগের এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট বহিরাগত শক্তি যত ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদের চেষ্টা চালিয়ে যাক, দিল্লিবাসী এখনও দিলদার। তাঁরা আজও সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement