সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌরজগতের দিকে যখন তাকাবেন, মনে হবে কোনও নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমানায় আপনার বাস নয়, সারা ব্রহ্মাণ্ডই আপনার আস্তানা৷ উক্তি মহাকাশে পা রাখা প্রথম ভারতীয় মহিলার৷ ১৯৬২ সালের আজকের দিনেই জন্মেছিল হরিয়ানার ডানপিটে মেয়েটা৷
- বাবা-মা নাম রেখেছিলেন মন্টো৷ কিন্তু কোনওদিন সেই নাম পছন্দ হয়নি কল্পনার৷ তাই মন্টোকে ডাকনামে পরিণত করে কল্পনা নামই নথিবদ্ধ করিয়েছিলেন৷
- ছোটবেলা থেকেই জানতে জীবনে কী করবেন৷ সেই পথে এগিয়েই পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়৷ ১৯৮৪ সালে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটনে স্নাতকোত্তর শিক্ষা সম্পন্ন করেন৷
- ছোট থেকে কোনও দিন ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করেননি৷ তবে হামেশা প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানের মধ্যে থাকতেন৷
- ১৯৮৮ সালে নাসায় কাজ শুরু করেন৷ শুধু মহাকাশ নিয়ে গবেষণা নয়, সার্টিফায়েড বাণিজ্যিক পাইলটও ছিলেন কল্পনা৷ শিখেছিলেন ক্যারাটে৷ ব্যাডমিন্টন খেলতেন৷ নিয়মিত দৌড়ে অংশ নিতেন৷ স্বামী জেন পিয়ের হ্যারিসনের কথায়, যে কাজ তাঁকে রোমাঞ্চিত করত৷ সঙ্গে সঙ্গে তাতে পারদর্শী হতে লেগে পড়তেন৷
- ১৯৮৩ সালে কল্পনার সঙ্গে বিয়ে হয় হ্যারিসনের৷ হ্যারিসন নিজেও একজন ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর ও এভিয়েশন অথোর৷
- ১৯৯১ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান কল্পনা৷ নাসার ওভারসেট মেথডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি৷ কর্মজীবনের নাসার তরফ থেকে পেয়েছেন একাধিক মেডেল ও সম্মান৷
- ২০০৩ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি যে কলম্বিয়া স্পেস শাটল দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়, তাতে তিনি ছাড়াও আরও ছয় মহাকাশযাত্রী ছিলেন৷ তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, শাটলটি জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ রওনা দিয়েছিল৷ আর ফেরার পথে অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ১৬ মিনিট আগেই ভেঙে পড়ে৷
[এবার তাজমহল ওড়ানোর হুমকি দিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন]
[সিবিআইকে নারদ কাণ্ডের তদন্ত করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট]