সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যবিবাহিতা নারীকে দিতে হল কুমারীত্বের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় নববধূর পরিবারকে দিতে হল জরিমানা। তার পরেও ওই ‘অপরাধে’ মেয়েটিকে ত্যাগ করলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) ভিলওয়ারায়।
মাস তিনেক আগের ঘটনা হলেও প্রশাসনের সামনে এসেছে সদ্য। ২৪ বছর বয়সি মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল গত ১১ মে। বিয়ের পর রাজস্থানের বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের ‘কুকড়ি’ (Kukri Pratha) রীতি মেনে তাঁর কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। তাতে পাশ করতে পারেননি বধূ। এই প্রথায় বিয়ের প্রথম রাতে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের পর সাদা চাদরের উপর যদি মেয়েটির রক্তের দাগ লাগে, তবেই তাঁর সতীত্বের প্রমাণ মিলবে। শুধু তা-ই নয়, সেই চাদরটি সমাজের আর পাঁচ জনের সামনেও প্রদর্শনও করা হয়। এই পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলে যেমন স্ত্রীকে ত্যাগ করার সুযোগ থাকে তেমনই নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর মতো নিদানও দেওয়া হয়।
ভিলওয়ারার (Bhilwara)মেয়েটির ক্ষেত্রেও ‘পাশ’ না করতে পারায় দশ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। নতুন বউয়ের পরিবারের তরফে টাকা না পেয়ে তাঁদের হেনস্থা শুরু করে ছেলের বাড়ি। জামাই ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। থানার ইনচার্জ আইয়ুব খান এ বিষয়ে জানান, প্রধানত টাকা আদায় নিয়েই বাধে গোলমাল। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে পাড়ার এক যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল। যা জানতে পেরে মেয়েটিকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি প্রবল মারধরও করে।
এর পরই শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ডাকা হয়। মেয়েটির পরিবারও পঞ্চায়েতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা জানিয়েছে। কয়েকদিন পর ফের পঞ্চায়েত বসিয়ে মেয়েটিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, অন্তত দু’দশ আগে এই কুকড়ি প্রথা নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও আইনের চোখের আড়ালে তা চলে আসছে নানা প্রান্তে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.