Advertisement
Advertisement
করোনা আতঙ্ক

লটারি কেটেই ভাগ্য বদল! করোনা আতঙ্কের দৌলতেই কোটিপতি শ্রমিক

কর্মহীন হয়ে বাড়ি ফিরে হতাশায় ডুবেছিলেন শ্রমিক।

A Bengali carpenter became millionaire through lottery
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 22, 2020 5:59 pm
  • Updated:March 22, 2020 9:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে কপাল! করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ভগবান তার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন এমনটাই মনে করছেন ইজারুল। করোনার আতঙ্কে কেরল থেকে বেকার হয়ে বাড়ি ফিরে লটারি কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন এক কাঠমিস্ত্রী। হতাশা, ভয় মিশিয়ে তুলে ধরলেন স্মৃতির কথা।

ভারতে যখন প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মেলে তখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্র তথা প্রতিটি রাজ্যের সরকার। মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বাংলায় তখনও মেলেনি আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সময়ে কেরলে কাঠের কাজ করে পরিবারের জন্য অর্থ রোজগারে ব্যস্ত ছিলেন বাংলার কাঠমিস্ত্রী ইজারুল। মির্জাপুরের বাড়িতে তখন ইজারুলের আশার পথ চেয়ে বসে তাঁর তিন সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মা। অন্যদিকে কেরলে তখন একে একে বন্ধ হচ্ছে দোকান-পাট, অঘোষিত বনধের চেহারা নিয়েছে কেরল। তাই পরিবারের কাছে ফেরার আশায় কোনও কিছু না ভেবে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে বসলেন ইজারুল। টাকার অভাবে পাননি কোনও এসি কোচের টিকিটও।

Advertisement

তবে ভগবান যার সহায় তার আর চিন্তা কিসের? বাড়ি ফিরে কর্মহীন হয়ে ভাগ্যের পরীক্ষা করতে একদিন কেটেই ফেললেন লটারির টিকিট। আর তাতেই কেল্লাফতে। কোটিপতি হয়ে গেলেন কর্মহীন ইজারুল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে শনিবার কেরল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। গতবছর বন্যা হওয়ায় কেরল থেকে তড়িঘড়ি বাংলায় ফিরে আসতে হয় ইজারুল-সহ বাকি শ্রমিকদের। সেই সময় সঞ্চয় ছাড়াই একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাতে হয়েছে তাঁদের। বাড়ি ছেড়ে কেরলের পথে ইজারুল পা বাড়িয়েছিলেন শুধুমাত্র টাকার আশায়। একটু বেশি টাকা রোজগারের আশায় কেরলে একা থেকেই লড়াই করে দিনযাপন করেছেন এতদিন। কেরলে কাঠের কাজ করে ইজারুলরা প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা পান অন্যদিকে কেরলে কাঠের কাজে প্রতিদিন পাওয়া যায় হাজার থেকে বারোশো টাকা। তবে ইজারুল বাড়ি ফিরে আশায় মোটেই হতাশ নন তার পরিজনেরা। টাকার অভাব ভুলে একসঙ্গে কাজ করে দিন গুজরানের কথা ভাবছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন:‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলব’, করোনা প্রতিরোধে মোদির সুরেই সোচ্চার চিদম্বরম]

ইজারুল বাড়ি ফেরায় তার পরিজনেরা খুশি হলেও হতাশায় ডুবে ছিলেন ইজারুল। পরে একটা লটারি তাঁর জীবনের দিশারি হয়ে ওঠে। বদলে দেয় তাঁর জীবনের চিন্তা। একসময় তিনি চিন্তা করছিলেন কী তুলে দেবেন সন্তানদের মুখে, কিন্তু আজ সেই মুখেই দেখা দিয়েছে এক গাল হাসি।

[আরও পড়ুন:করোনার জের, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাতিল দেশের সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement