সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। স্বপ্ন দেখার কোনও বয়স আছে নাকি? দেখার ইচ্ছে থাকলেই দেখা যায়। আবার তা পূরণও করা যায়। হোক না বয়স একশোর কাছাকাছি। এই বয়সেও পাওয়া যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। নাহ, সাম্মানিক ডিগ্রি নয়। বরং রীতিমতো খেটে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে পাওয়া ডিগ্রি হাতে নিলেন ৯৮ বছরের পড়ুয়া রাজকুমার বৈশ। তাও আবার অর্থনীতিতে।
[‘কুলভূষণের সঙ্গে পাকিস্তানে যোগ্য আচরণ’, সপা সাংসদের মন্তব্যে শোরগোল]
নালন্দা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের(NOU) অ্যানুয়াল কনভোকেশন অনুষ্ঠানে এই ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয় রাজকুমারের হাতে। বয়সের ছাপ শরীরে পড়েছে। ভাল করে হাঁটতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁর জন্য হুইলচেয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করেন ৯৮ বছরের বৃদ্ধ। ওয়াকারের সাহায্য নিয়ে নিজে হেঁটে মঞ্চে যান। সার্টিফিকেট নেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল গঙ্গা প্রসাদের হাত থেকে। তুবড়ে যাওয়া গালেও ছিল তৃপ্তির হাসি। স্বপ্ন পূরণের হাসি।
[সহায় বাজপেয়ী, এবার মাত্র ১০ টাকায় মিলবে ভরপেট খানা]
স্বপ্নটা রাজকুমার বৈশ দেখেছিলেন স্বাধীনতারও আগে। ১৯৩৮ সালে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন তিনি। চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের চাহিদা ছিল প্রচুর। তা মেটাতেই চাকরিতে যোগ দিতে হয় তাঁকে। তারপর সময় নিজের নিয়মে বয়ে গিয়েছে। দায়িত্ব আর সেভাবে শেষ হয়নি। যখন হয়েছে তখন ছেলে সন্তোষকুমারও চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আশা ছাড়েননি বৃদ্ধ। নব্বই পেরিয়েও ভর্তি হন নালন্দা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা করেই আদায় করে নেন নিজের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এত বছরের স্বপ্ন হল পূরণ। কেমন লাগছে? প্রশ্নের উত্তরে একগাল হেসেই নিজের খুশি জাহির করলেন রাজকুমার। জানালেন, স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আশা কখনও ছাড়তে নেই। যে নিষ্ঠা তিনি দেখিয়েছেন সেই নিষ্ঠাই এ প্রজন্মের মধ্যেও থাকুক, এমনটাই চান তিনি।
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জিভ কাটলে মিলবে ১ কোটি টাকা, ফতোয়ায় বিতর্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.