জে কে লোন হাসপাতাল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে রাজস্থানের কোটার পরিস্থিতি। গত একমাসে সেখানকার জে কে লোন সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯১টি শিশুর। যার মধ্যে গত পাঁচদিন মারা গিয়েছে একডজনের বেশি শিশু। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। সেই সঙ্গে ফিরিয়েছে ২০১৭ সালের গোরক্ষপুর হাসপাতালের স্মৃতিও। ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭ জন শিশুর। অক্সিজেনের অভাবেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল বলে তদন্তে জানা যায়।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট হাসপাতাল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরকে। কিন্তু, তারপরও কোনওভাবে আটকানো যাচ্ছে না শিশুমৃত্যুর ঘটনা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অশোক গেহলটকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন স্থানীয় সাংসদ এবং লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও। ফলে এখন দম ফেলার সময় নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে দেখে শিশুমৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু, তাতে হাসপাতালের তরফে কোনও গাফিলতি নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দিল্লিতে একটি বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। ওই বৈঠক তিনজনের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়। যে দলটি আগামীকাল কোটার জে কে লোন হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তারপর তিনদিনের মধ্যে জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। তার প্রেক্ষিতেই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরি করবে বিজেপি।
যদিও এপ্রসঙ্গে জে কে লোন হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামোগত কোনও ত্রুটি ছিল না। ৯১ জনের মধ্যে গত বেশ কিছুদিন ধরে অত্যন্ত আশঙ্কজনক পরিস্থিতিতে ভেন্টিলেশনে ছিল ১০টি শিশু। কিন্তু, তাতেও তাদের বাঁচানো যায়নি। আর ২৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যে পাঁচটি সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে, তারা জন্মের পর থেকেই মস্তিষ্কের বিশেষ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। যার জেরে তাদের মস্তিষ্কে ঠিকভাবে রক্ত যাচ্ছিল না। এর ফলেই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যদিও মৃত শিশুদের পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের দুরবস্থা ও ডাক্তারদের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। সরকার সব কিছু জানা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.