সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংসতার নজির যোগীর রাজ্যে। আবারও শিরোনামে উন্নাও। এবার ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বছর পঁচিশের যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় অভিযোগ জানাতে গেলে থানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের। কয়েক ঘণ্টা পরও অভিযোগ দায়ের নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন দুই থানার মধ্যে।
গতকাল সকালে ট্র্যাক্টরে করে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে স্থানীয় একটি মেলায় যোগ দিতে যায় ওই নাবালিকা ও তাঁর পরিবার। নাবালিকার পরিবার যখন মেলায় ঘুরতে ব্যস্ত তখনই পাশের একটি পোড়ো বাড়িতে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায় ট্রাক্টর চালকের ছেলে ছোটু। অভিযোগ সেখানেই নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয় তাকে। মেয়েটি চিৎকার করলেও মেলায় প্রচুর জনকোলাহলের জন্য কেউ তা শুনতে পায়নি। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে নির্যাতিতা। কোনওরকমে বাড়ির লোকেদের খুঁজে বের করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয় সে। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটি যখন ফিরে আসে তখনও তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তপাত হচ্ছিল। তার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই অবস্থাতেই নির্যাতিতাকে নিয়ে স্থানীয় আউরস থানায় অভিযোগ জানাতে যান তাঁর বাবা। কিন্তু সেখানেও তাঁকে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়। অভিযোগ বেশ কয়েক ঘণ্টা তিনি কিছু বলারই সুযোগ পাননি। বারবার অনুরোধ করলেও কর্ণপাত করেনি কেউ। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে জানানো হয় যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তা নাকি ওই থানার অন্তর্গত নয়। বাধ্য হয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে সাফিউর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে হয় তাঁকে। নিয়ম অনুযায়ী, মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে যে কোনও থানা ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের করতে বাধ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করেননি আউরস থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
কদিন আগেই এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল উন্নাওয়ের বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনেগারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে গিয়ে থানাতেই ‘পুলিশের মারে’ প্রাণ হারাতে হয়েছিল নির্যাতিতার বাবাকে। সেবারেই কাঠগড়ায় উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা। এক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নাতীত নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.