সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের মুখে বিপাকে গুজরাটের বিজেপি সরকার। মোদি রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালে একদিনে মারা গেল ৯ সদ্যোজাত শিশু। অভিযোগ উঠেছে, শনিবার রাতে আমেদাবাদের ওই সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন না। তাতেই ঘটেছে বিপর্যয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[‘মন কি বাত’-এ ইন্দিরা গান্ধীকে কেন স্মরণ করলেন মোদি?]
জানা গিয়েছে, মৃত ৯টি সদ্যোজাতর মধ্যে পাঁচটি শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে বাকি তিন সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থাও একেবারেই ভাল ছিল না। প্রত্যেকের জন্মের সময় ওজন অত্যন্ত কম ছিল। শনিবার রাতে হাসপাতালে আইসিইউ-তে মৃত্যু হয় ৯ সদ্যোজাতরই। আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের সুপার এম এম প্রভাকরের বক্তব্য, লুনাওয়াড়া থেকে যে সদ্যোজাতটি হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তার ওজন ছিল মাত্র ১.১ কেজি। তিনি বলেন, গুজরাটে মাহিসাগর জেলার লুনাওয়াড়া শহর থেকে আমেদাবাদের দুরত্ব ১৩০ কিমি। তাই রোগীকে কাছাকাছি কোনও সরকারি হাসপাতালে ভরতি উচিত ছিল। সুপারের দাবি, সাধারণত শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ার পর সদ্যোজাতদের আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়। ভরতি হওয়ার পর তাদের শারীরিক অবস্থায় আরও সংকটজনক হয়ে যায় এবং অনেক সময়ই সদ্যোজাতদের বাঁচানো যায় না।
[যোগীর রাজ্যে শিশুকে পিষল মন্ত্রীর কনভয়, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
তবে সুপার যাই বলুন কেন, শিশুমৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি অভিযোগও উঠেছে। একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার সময়ে হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন না। তাই কার্যত বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে সদ্যোজাতদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, শনিবার রাতে হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সই ডিউটিতে ছিলেন।
[কাশ্মীর প্রসঙ্গে চিদাম্বরমের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ স্মৃতি, দূরত্ব বাড়াল কংগ্রেসও]
প্রসঙ্গত, নভেম্বরেই গুজরাটে বিধানসভা ভোট। মোদির রাজ্যে উন্নয়ন প্রশ্নে বিজেপি সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিরোধীরা। তার উপর পতিদার আন্দোলনে নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোয় চিন্তায় শাসকদল। জিএসটি নিয়েও ক্ষুদ্ধ গুজরাটে ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ। এই প্রেক্ষাপটে সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুতে বিরোধীরা যে অক্সিজেন পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[ফের অশান্ত কাশ্মীর, সেনার গুলিতে খতম ২ জঙ্গি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.