ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : হায়দরাবাদে এনকাউন্টারে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত চারজনের মৃত্যুর খবরে উচ্ছ্বসিত দেশবাসী। কিন্তু রাতে উন্নাওয়ের নির্য়াতিতার মৃত্যুর খবরে শিউরে উঠেছেন তাঁরাই। এরপর সামনে আসেছে একের পর এক পরিসংখ্যান। আর তাতেই স্পষ্ট উত্তরপ্রদেশে বিশেষত উন্নাওয়ের আইনশৃঙ্খলার চিত্র।
গত ১১ মাসে শুধুমাত্র উন্নাও জেলা থেকেই ৮৬টি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা হয় জামিনে মুক্ত, না হলে তাদের গ্রেপ্তারই করতে পারেনি যোগী প্রশাসনের পুলিশ। সদ্য প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানে চমকে উঠেছে গোটা দেশ। নেটিজেনদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের রাজধানী উন্নাও!
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে মাত্র ৬৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উন্নাও। কানপুর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। অথচ এই জেলায় দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয় মেয়েরা। হাতেগোনা কয়েকটা অভিযোগ খাতায় কলমে পুলিশের রেকর্ডে দায়ের হয়। আর তার চেয়েও কম অভিযোগ সম্পর্কে তামাম দেশবাসী জানতে পারেন। বাকি নির্যাতিতাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে।
পরিসংখ্যান বলছে, ৩১ লাখ জনসংখ্যার এই জেলায় গত ১১ মাসে ১৮৫ টি যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। অসওয়া, অজগেইন, মক্ষি এবং বাঙগরমাউতে সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তবে, সম্প্রতি যৌন নির্যাতিতাদের খুনের চেষ্টা হয়েছে পুরওয়াতে। সেখানেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বছরের তেইশের নির্যাতিতেকে। শুক্রবার রাতেই দিল্লির হাসপাতালে জীবনের লড়াই শেষ হয় তাঁর। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য জেলার মানুষ পুলিশ-প্রশাসনকেই দুষছে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। অজগেইনের বাসিন্দা রাঘব রাম শুক্লার অভিযোগ, “উন্নাওয়ের পুলিশ সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে কাজ করছে। রাজনৈতিক নেতাদের কথা ছাড়া তাঁরা এক পা-ও এগোয় না। তাঁদের এই আচরণ অপরাধীদের আরও উৎসাহিত করে।” একই অভিযোগ এলাকার আইনজীবীদেরও। তাঁদের কথায়, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নেতারা অপরাধীদের ব্যবহার করছে। আর তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিকাংশ সময় ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.