সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উনিশের নৃশংস হামলার স্মৃতি ফেরানোর চেষ্টা তেইশে! কাশ্মীরে ফের পুলওয়ামার মতো বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জেহাদিরা! আর তাই জলের মতো টাকা ঢুকছিল ভূস্বর্গে। যাতে প্রয়োজনমতো অস্ত্র কেনা যায়। বাড়ানো যায় লোকবল। দরকারে হাত করা যায় স্থানীয় প্রশাসনকেও। আর এই ষড়যন্ত্রের অংশ পুলিশ প্রশাসনের একাংশ থেকে বিশাল ব্যবসায়ীরাও, দাবি তদন্তকারীদের। যদিও কাশ্মীরের গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় ভেস্তে গেল সেই ছক। সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় ‘টেরর ফান্ডিং’ চক্রের পর্দাফাঁস করল SIA। হদিশ মিলল গোপনে ৮৫ কোটি টাকা লেনদেনের।
শুক্রবার কাশ্মীরের (Kashmir) তিন জেলা- শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অন্ততনাগের ২২ এলাকা তল্লাশি অভিযান চালায় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা SIA। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই ‘টেরর ফান্ডিং’ (Terror Funding) চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের একাংশের যোগ রয়েছে। গোয়েন্দারা বলছে, কাশ্মীরে স্লিপার সেল তৈরি থেকে নাশকতার অস্ত্র আমদানির প্রয়োজনীয় অর্থ আসছে পাকিস্তান থেকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির নির্দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI। আর বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে জলের মতো সেই টাকা ঢুকছে ভূস্বর্গে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বারবার অভিযোগ করেছেন, কিছু হুরিয়ত নেতা, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে কাশ্মীরের লোকাল হ্যান্ডেলারদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সেই টাকা।
সূত্রের খবর, সন্ত্রাসের সেই আর্থিক মদতের শিঁকড় অবধি পৌঁছতে বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চলে। এর মধ্যে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা ও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িও রয়েছে। SIA-এর তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের আর্থিক মদত সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার সূত্র ধরে ২২ জায়গায় তল্লাশি চলে। অভিযানে প্রচুর বৈদ্যুতিন সামগ্রীর পাশাপাশি ৮৫ কোটি টাকা লেনদেনর হদিশ মিলেছে। যা গোপন মাধ্যমে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। এবার সেই চক্রের পর্দাফাঁস করল কাশ্মীরের SIA।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.