ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে মহিলাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন যত বাড়ছে, তত অপরাধের নতুন নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? মামলা উঠেছে তা নিয়েও। অপরাধ শনাক্তকরণের জটিলতার কারণেই নতুন নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। যেমন এবার নয়ডার (Noida) এক অশীতিপর বৃদ্ধের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণে’র (Digital Rape) অভিযোগ উঠল। গত সাত বছর ধরে পেশায় স্কেচ আর্টিস্ট ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে ডিজিটাল ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ডিসেম্বরের আগে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ শব্দটির অস্তিত্ব ছিল না ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায়। নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের পরেই ধর্ষণের একটি বিশেষ ধরনকে ডিজিটাল ধর্ষণ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। জেনে রাখা ভাল, ডিজিটাল ধর্ষণের সঙ্গে মোবাইল কিংবা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কোন যোগ নেই। ডিজিটাল ধর্ষণ মানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন মেয়ে বা ছেলের উপর অত্যাচার চালানোও নয়। ডিজিটাল ধর্ষণের অর্থ, অভিযুক্ত হাত বা পায়ের আঙুলের ব্যবহার করে যৌন লালসা মিটিয়ে থাকে।
নয়ডার ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ১৭ বছরের ওই নাবালিকা। দীর্ঘদিন এই বাড়িতে থেকেই কাজ করে সে। এদিকে বাড়ির মালিকের গত ২০ বছরের বন্ধু অভিযুক্ত স্কেচ আর্টিস্ট ও শিক্ষক। ফলে তার এবাড়িতে যাতায়াত লেগেই থাকত। নির্যাতিতা জানিয়েছে, দশ বছর বয়স থেকেই তাকে একা পেলেই অভিযুক্ত যৌন লালসা মেটাত। যদিও এই বিষয়ে ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সম্প্রতি সাহস করে ঘটনার অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করে সে। অভিযোগ জানানোর সময় ওই অডিও ও ভিডিও ক্লিপ পুলিশের হাতে তুলে দেয় নাবালিকা।
এরপরই রবিবার নয়ডার সেক্টর ৩৯ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই বৃদ্ধকে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.