সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের শিকার, তবু উপস্থিত বুদ্ধি হারায়নি ছোট্ট মেয়েটি৷ আর তাই কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচল সে৷ মরার ভান করে থেকে ধর্ষককেই বোকা বানিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হল সে৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটে দিল্লির কিরারিতে৷
প্রচণ্ড গরম, ঘরের মধ্যে টেকা দায়, তাই ঘরের বাইরে দালানে খাটিয়া পেতে শুয়েছিল বছর আটেকের মেয়েটি৷ ঘরের মধ্যে ছিল বাবা-মা আর মাস সাতেকের ছোট্ট বোন৷ সকলেই তখন গভীর ঘুমে৷ রাত তখন দেড়টা, এমন সময় হঠাৎই মেয়েটির ঘুম ভেঙে যায়৷ তার মনে হয় বাড়ির চেনা জায়গায় অন্য কোথাও আছে সে৷ আচমকাই নজর পরে অন্ধকারে ছায়ার দিকে৷ কোথায় আছে সে? এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠতে যাবে, এমন সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক খুব জোরে মুখ চেপে ধরে মেয়েটির৷ এমন অবস্থায় মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় সেই অপহরণকারী৷ বাচ্চা হলেও মেয়েটির রেহাই মেলেনি৷ তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি৷ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে সে৷ কিন্তু এত অত্যাচারের মধ্যেও উপস্থিত বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেনি মেয়েটি৷ যাতে চিৎকার করতে না পারে তাই তার মুখটি চেপে ধরেছিল ধর্ষক৷ সেই সুযোগেই মরার ভান করে পড়ে থাকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি৷ এতেই কাজ হয়৷ ভয় পেয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক৷ বারবার মেয়েটির চিবুক ধরে নাড়াতে থাকে সে৷ অভিযুক্ত যুবক অপহৃতা বালিকাটি মারা গিয়েছে বলে ভয় পেয়ে যায়৷ ওই যুবক সামনে থেকে সরে যেতেই সুযোগ বুঝে বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকে মেয়েটি৷ মেয়েটিকে পাগলের মতো দৌড়তে দেখে তার পিছু নেয় ধর্ষণকারী যুবকটিও৷ মাঝে রাস্তায় থাকা পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় সে৷ তাতেই বাড়িতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় মেয়েটি৷ ভয় প্রথমে বাবা-মাকে কিছু বলেনি সে৷ বিছানার চাদরে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় বাবা-মায়ের৷ চেপে ধরতে তখনই পুরো ঘটনাটি বলে মেয়েটি৷ বর্তমানে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি৷ তার তলপেটে এবং গোপন অঙ্গে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷ এছাড়া গলায় ব্যথা থাকার কারণে খাওয়ারও অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সে৷
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ সিসিটিভির সূত্র ধরে অভিযুক্ত যুবককে ধরার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূত্রে মিলেছে৷ অভিযুক্ত যুবক একই এলাকার বাসিন্দা বলে অনুমান পুলিশের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.