সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের টার্গেট কারগিল সীমান্ত। আবারও ২০ বছর আগেকার যুদ্ধের স্মৃতি উসকে দিতে চাইছে পাকিস্তান। দু’দেশের সীমান্তে স্পর্শকাতর এই কারগিলের বিপরীত দিকে, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সামান্য দূরে বাঙ্কার তৈরির কাজ শুরু করে দিল পাক সেনা।
সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বালতোরো সেক্টরের স্কারদু এলাকায় বেশ কয়েকটি নতুন বাঙ্কার পাকিস্তান তৈরি করেছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের এই এলাকা ঠিক কারগিলের উলটোদিকে অবস্থিত। এর মধ্যে পাক সেনার ছ’টি বাংকার প্রায় তৈরি। কয়েকটি বাঙ্কার ১০ ফুট বাই ১২ ফুটের এবং অন্য বাঙ্কারগুলি আরও বড় – ২০ ফুট বাই ১২ ফুটের।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেন্দ্র তুলে নেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে বেশিরভাগ দেশ মেনে নিলেও পিছু হঠতে নারাজ পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতি, গুলি বিনিময় জারি রয়েছে। এর মধ্যেই উত্তেজনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল কারগিল সীমান্তের ওপারে পাক সেনার এই উসকানিমূলক কার্যকলাপ। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের
পর কেটে গিয়েছে ২০ বছর। তবে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ফের যুদ্ধের আবহে যেন তেতে উঠছে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
এদিকে, পাক সেনার মোকাবিলায় দেশের অস্ত্রভাণ্ডার আরও উন্নত করতে তৎপর ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে ৮টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। আমেরিকার বোয়িং সংস্থা দ্বারা নির্মিত এই উন্নত ও সর্বাধুনিক হেলিকপ্টারগুলি আজই পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে এসে পৌঁছাবে। সেখানে আজ অ্যাপাচের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া।
২২টি অ্যাপাচে কপ্টার কেনা নিয়ে মার্কিন সরকার ও বোয়িংয়ের সঙ্গে ভারত সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। ভবিষ্যতে পাক সেনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য এবং স্থলসেনা ও বায়ুসেনাকে সাহায্য করতেই অ্যাপাচেগুলিকে পাঠানকোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাখা হচ্ছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক সিনিয়র অফিসারের মতে, ‘এএইচ ৬৪ই’ অ্যাপাচে কপ্টার বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত বহুমুখী মারণক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধযান। অনেকে একে ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ও বলেন। আর এই ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’-এর সাহায্যেই পাকবিরোধী যুদ্ধের অস্ত্রে শান দিচ্ছে বায়ুসেনা। মঙ্গলবারের পর থেকে এই অ্যাপাচে কপ্টারই পাকিস্তানের কাছে জুজু হয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.