Advertisement
Advertisement
নিজামুদ্দিন

তবলিঘি জামাত যোগ, পালানোর সময় বিমানবন্দরে পাকড়াও ৮ বিদেশি নাগরিক

ভিসার নিয়ম ভাঙায় আরও ১০ বিদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।

8 Malaysian citizens who attended Delhi Mosque event caught at airport
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 5, 2020 2:30 pm
  • Updated:April 5, 2020 2:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিক। সরকারি সূত্রে খবর, তাদের মধ্যে আটজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। শনিবার রাতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে তাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে গা-ঢাকা দিয়েছিল ওই বিদেশি নাগরিকরা। পালানোর চেষ্টা করতেই হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। এদিকে রবিবার মারকাজ নিজামুদ্দিনে হাজির হন দিল্লির পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। গাজিয়াবাদ এলাকায় ১০ ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, ভিসার নিয়ম ভাঙায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারাও ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মহামারির আবহে এ দেশে আটকে থাকা বিদেশিদের দেশে ফেরাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। তাদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শনিবার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনার দেওয়ার কথা ছিল। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ওই আটজন দিল্লিতে লুকিয়ে ছিল। মালয়েশিয়া বিমান পাঠানোর খবর পেয়ে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন। বিমানবন্দর সূত্রে খবর পেয়ে তাদের পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। তাদের আপাতত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে বলে খবর। কিন্তু মহামারি পরিস্থিতিতে দিল্লিতে কোথায় লুকিয়েছিলেন তারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া বিদেশিদের যখন হন্যে হয়ে খুঁজছে প্রশাসন, তখন তাদের আশ্রয় দিল কে? তাহলে কি সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে, সেটাই ভাবাচ্ছে দিল্লি পুলিশকে।

রবিবার দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় যায় দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা। অভিযোগ, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন তবলিঘি জামাতের সদস্যরা। লকডাউন ঘোষণার পরেও মসজিদে ছিলেন প্রায় ২৩০০ সদস্য। সেখান থেকে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায় বলে অভিযোগ। তাই মহামারি আইনের ধারায় ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন মৌলানা সাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও তার এখনও হদিশ মেলেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement