সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নেই! নেই কেরিয়ারে উন্নতির সম্ভাবনাও! তাই দেশের সরকার যখন বায়ুসেনার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আধুনিকীকরণের রাস্তায় হাঁটছে ঠিক তখনই একে একে চাকরি ছাড়ছেন পাইলটরা। গত ১০ বছরে মোট ৭৯৮ জন পাইলট কাজ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে।
একদিকে চিন ও অন্যদিকে পাকিস্তানের বাড়বাড়ন্ত কমানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ভারতীয় বায়ুসেনা ((IAF)’র শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই রাফালে বিমান-সহ একাধিক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে। ঠিক এই সময়েই ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলটদের ইস্তফার বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা। আরটিআই (RTI) আইনে করা এই আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গত ১০ বছরে বায়ুসেনার মোট ৭৯৮ জন পাইলট ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৮৯ জন বেসরকারি বিমান চালানোর জন্য কেন্দ্রের থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়েছেন।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বায়ুসেনায় মোট ৩ হাজার ৮৫৫ জন পাইলট ছিলেন। আদতে ৪ হাজার ২৩১টি পদ থাকলেও তখন ৩৭৬ জন পাইলট কম ছিল বায়ুসেনায়। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যসভায় এই তথ্য দেওয়ার পরে গত দু’বছরে আরও ১৮১ জন চাকরি ছেড়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে ১০০ জন ও ২০১৭ সালে ১১৪ জন কাজ ছাড়েন। গত ২ বছর ধরে বায়ুসেনার অন্দরমহলে এর কারণ খুঁজতে সমীক্ষা চালানো হয়। মে মাসে তার রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জানা যায়, ইস্তফা দেওয়া পাইলটদের মধ্যে ৩২ শতাংশ বায়ুসেনায় কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। ২৫ শতাংশ আবার এর থেকে বাইরে চাকরি করা ভাল বলে মনে করেন। ১৯ শতাংশের আপত্তি ঘন ঘন কাজের জায়গা বদলানোর ঘটনা নিয়ে। আর ১৭ শতাংশের মনে হয়, বায়ুসেনায় চাকরি করলে তাঁদের উন্নতি হবে না। মাত্র সাত শতাংশ আবার মাইনে কম বলে জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুসেনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটরা মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা বেতন পান। কিন্তু, বেসরকারি ক্ষেত্রে একই মানের পাইলটদের দেওয়া হয় চারগুণ টাকা। সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি থাকে। তাই বেশি টাকা ও সুবিধার জন্য অনেকেই বেসরকারি সংস্থা যোগ দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: তিক্ততা ভুলে জন্মদিনে রাজীব স্মরণ মোদির, ‘এমন বাবা পেয়ে গর্বিত’, বললেন রাহুল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.