Advertisement
Advertisement

Breaking News

medicines price

প্রেসার-সুগার থেকে হার্ট-কিডনি! একধাক্কায় ৭৮৪ ওষুধের দাম বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বমুখী স্টেন্টের মূল্যও

১ এপ্রিল থেকেই বর্ধিত দাম দেশজুড়ে কার্যকর হবে।

784 medicines will be sold in higher price from 1 April
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 31, 2025 8:55 pm
  • Updated:March 31, 2025 8:57 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এবার একধাক্কায় ওষুধের দাম বাড়ছে ১.৭৪ শতাংশ। আগামিকাল, ১ এপ্রিল থেকেই বর্ধিত দাম দেশজুড়ে কার্যকর হবে। দাম বাড়ছে জ্বর থেকে রক্তরোগ, হৃদরোগ থেকে কিডনি সংক্রান্ত অসুখের ওষুধের। বাদ পড়ছে না স্টেন্টও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এমনিতেই ওষুধের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে একধাক্কায় ৭৮৪টি ওষুধের পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের গরিব ও মধ্যবিত্তদের নাগালের আরও বাইরে বেরিয়ে গেল।

যেসব ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে তার মধ্যে প্রায় সব ধরনের রক্তচাপ, কিডনি, রক্তের বিভিন্ন রোগ যেমন- হিমোফিলিয়া, সিকেল সেল, রক্ত পাতলা করা, রক্ত জমাট বাঁধার ওষুধ রয়েছে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল, ইনসুলিন, ডায়েরিয়া, গ্যাস্ট্রো, স্ট্রোক, পক্ষাঘাত ব্যথানাশকের পাশাপাশি জ্বরের ওষুধও রয়েছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, ওষুধের স্ট্রিপ বা পাতা নয়। প্রতিটি ট্যাবলেট অথবা ক্যাপসুলের দাম বৃদ্ধি হবে।

Advertisement

শুধু যে ওষুধের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে তা নয়। দাম বাড়ছে স্টেন্ট-সহ বিভিন্ন কার্ডিয়াক সার্জারি সামগ্রীরও। দাম বেড়েছে করোনারি স্টেন্টের। কারণ, স্টেন্টকেও ওষুধ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। বেয়ার মেটাল এবং ড্রাগ ইলিউটিং-দু’ধরনের স্টেন্টর দাম ১.৭৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। ফলে বেয়ার মেটাল স্টেন্ট সর্বোচ্চ দাম ১০ হাজার ৬৯৩ টাকা এবং ড্রাগ ইলিউটিং স্টেন্টের সর্বোচ্চ দাম ৩৮ হাজার ৯৩৩ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যে ৭৪৮টি ওষুধের দাম বাড়ল সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সেন্ট্রাল ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট এসোশিয়েশন। সংগঠনের তরফে শঙ্খ রায়চৌধুরী জানান,”মধ্যবিত্তের স্বার্থে এনপিপিএ-কে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। শুধু ওষুধ বিক্রেতা নয়, যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছেন তাঁদেরও বিরোধিতা করতে হবে।” যদিও এন পিপি এ র তরফে জানানো হয়েছে ন্যাশানাল লিস্ট এসেনসিয়াল মেডিসিন অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮ টি ওষুধের উৎপাদকরা যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য এই পদক্ষেপ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এনপিপিএ জানিয়ে দিয়েছে, সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইসের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ১.৭৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে না। তাদের দাবি, ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালের দাম এবং জিএসটি যেভাবে বেড়েছে তাতে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না। আগামী দু’মাসের মধ্যে পুরোনো স্টক শেষ হবে। ফলত জুন থেকে গোটা দেশেই নতুন দামে ওষুধ বিক্রি হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub