সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল স্কুল: মাত্র একজন ছাত্র। কিন্তু, তার জন্যই খুলে দেওয়া হল গোটা একটা স্কুল! ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর জেলার ভালাপারাই এলাকার চিন্নাকাল্লারে। আজ থেকে ৭৬ বছর আগে ১৯৪৩ সালে প্রাথমিক ওই স্কুলটি খুলেছিল আদি দ্রাবিদার অ্যান্ড ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট। কিন্ত, দু’বছর আগে একমাত্র ছাত্রীটিও স্কুল পাশ করে যায়। এরপর পড়ুয়ার অভাবে সেটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, মাত্র একজন পড়ুয়ার জন্য ফের খুলে গেল স্কুলটির দরজা।
একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন্নাকাল্লার এলাকার একটি চা বাগানে কাজ করেন রাজেশ্বরী নামে মহিলা। সম্প্রতি ছ’বছরের ছেলে শিবাকে পড়াশোনা করাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই স্কুলে ভরতি করার চেষ্টা করেন। খবর নিয়ে জানতে পারেন নিকটবর্তী স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছে আদি দ্রাবিদার অ্যান্ড ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট। তবে তাদের অন্য স্কুলটি রয়েছে চার কিলোমিটার দূরে পেরিইয়াকাল্লার এলাকায়। চা বাগানের কাজ সামলে অত দূরের স্কুলে ছেলেকে কীভাবে পড়াবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তাই চা বাগানের মধ্যে থাকা প্রাথমিক স্কুলটি ফের খোলার জন্য আবেদন করেন। তখন ভাবতেও পারেননি যে তাঁর ছেলেকে পড়াতে ফের খুলে যাবে স্কুলের দরজা।
এপ্রসঙ্গে পেরিইয়াকাল্লার স্কুলের প্রধানশিক্ষক এম শক্তিভেল বলেন, “ওই মহিলার অনুরোধে তাঁর ছেলে শিবাকে সোমবার প্রথম শ্রেণীতে ভরতি করা হয়েছে। আমাকেই স্কুলটি চালানোর এবং ওই ছাত্রকে শিক্ষা দেওয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই স্কুলটিকে খোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল আদি দ্রাবিদার অ্যান্ড ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৩ সালে চা বাগানের শ্রমিকদের সন্তানের জন্য খোলা হয়েছিল ওই প্রাইমারি স্কুলটি। তখন এখানে প্রায় ৩০০-র বেশি শ্রমিক থাকতেন। তারপর ৭০ বছর ধরে ভালই চলছিল। প্রতিবছর স্কুলটিতে ৫০ জনের বেশি পড়ুয়াকে শিক্ষাও দেওয়া হত। কিন্তু, কয়েকবছর আগে হাতি ও অন্য পশুদের হামলার ঘটনা আতঙ্ক ছড়ায়। তাই এলাকা ছাড়তে শুরু করেন শ্রমিকরা। কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যাও। দু’বছর
আগে মাত্র একজন ছাত্রীর জন্য একজন প্রধানশিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ছিল ওখানে। কিন্তু, সেই ছাত্রীটি পাশ করতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.