ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল তাদের এক সহকর্মীর। এর জেরে ৭৩ বছরের বৃদ্ধ এক বাঙালি চিকিৎসককে পিটিয়ে মারল চা বাগানের শ্রমিকরা। শনিবার সন্ধেয় পাশবিক
এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের জোরহাট জেলার তেওক চা বাগানের হাসপাতালে। মৃত চিকিৎসকের নাম দেবেন দত্ত। প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরুর পর এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে জোরহাট জেলার ডেপুটি কমিশনার রোশনি অপারাঞ্জি করাতী বলেন, ‘৭৩ বছরের দেবেন দত্ত আমালগামাটেড প্ল্যান্টটেশন লিমিটেড কোম্পানির অধীনস্থ তেওক চা বাগানের চিকিৎসক ছিলেন। শনিবার ওই চা বাগানের হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন মৃত্যু হয় এক চা শ্রমিক সোমরা মাজির। এর জেরে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তার সহকর্মীরা। দেবেন দত্তের অনুপস্থিতির জেরে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানাতে থাকে। তারপর ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক হাসপাতালে পৌঁছনোর পর তাঁকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে। পরে সেখান থেকে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করে। আক্রান্ত চিকিৎসককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন ওই বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার জীবন কূর্মি।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দেবেনবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে চা বাগানের ভিতরে থাকা কর্মচারীদের কোয়ার্টার লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করতে হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবেন দত্ত ও জীবন কূর্মিকে নিয়ে যাওয়া হয় জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা দেবেন দত্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পরে ওই চাবাগান কোম্পানির তরফে লকআউটের নোটিস ঝোলানো হয় ওই চা বাগানের গেটে। তাতে লেখা আছে, বাগানের হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বিনা কারণে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনায় চা বাগানের কিছু শ্রমিকের পাশাপাশি বহিরাগতরাও ছিল। বাগানে থাকা অফিস এবং কর্মচারীদের কোয়ার্টারেও পাথর ছোঁড়া হয়েছে। এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই বাগান বন্ধ রাখা হল। সবকিছু শান্ত হলে ফের কাজ শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.