Advertisement
Advertisement

Breaking News

অসমে গণপিটুনি

অসমে ৭৩ বছরের বাঙালি চিকিৎসককে পিটিয়ে মারল চা শ্রমিকরা

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Doctor Dies After Beaten Up by Tea Workers Over Colleague's Death

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 1, 2019 2:36 pm
  • Updated:September 1, 2019 2:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল তাদের এক সহকর্মীর। এর জেরে ৭৩ বছরের বৃদ্ধ এক বাঙালি চিকিৎসককে পিটিয়ে মারল চা বাগানের শ্রমিকরা। শনিবার সন্ধেয় পাশবিক
এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের জোরহাট জেলার তেওক চা বাগানের হাসপাতালে। মৃত চিকিৎসকের নাম দেবেন দত্ত। প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরুর পর এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি লালুপ্রসাদের, কার্যত বিকল হওয়ার পথে কিডনি]

এপ্রসঙ্গে জোরহাট জেলার ডেপুটি কমিশনার রোশনি অপারাঞ্জি করাতী বলেন,  ‘৭৩ বছরের দেবেন দত্ত আমালগামাটেড প্ল্যান্টটেশন লিমিটেড কোম্পানির অধীনস্থ তেওক চা বাগানের চিকিৎসক ছিলেন। শনিবার ওই চা বাগানের হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন মৃত্যু হয় এক চা শ্রমিক সোমরা মাজির। এর জেরে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তার সহকর্মীরা। দেবেন দত্তের অনুপস্থিতির জেরে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানাতে থাকে। তারপর ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক হাসপাতালে পৌঁছনোর পর তাঁকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখে। পরে সেখান থেকে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করে। আক্রান্ত চিকিৎসককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন ওই বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার জীবন কূর্মি।হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দেবেনবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’

Advertisement

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে চা বাগানের ভিতরে থাকা কর্মচারীদের কোয়ার্টার লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে প্রথমে পুলিশ ও পরে সিআরপিএফ জওয়ানদের মোতায়েন করতে হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবেন দত্ত ও জীবন কূর্মিকে নিয়ে যাওয়া হয় জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা দেবেন দত্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

[আরও পড়ুন: ইউপিএসসি’র প্রস্তুতিতে ব্যস্ত স্বামী, শীতল সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত স্ত্রীর]

এই ঘটনার পরে ওই চাবাগান কোম্পানির তরফে লকআউটের নোটিস ঝোলানো হয় ওই চা বাগানের গেটে। তাতে লেখা আছে, বাগানের হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বিনা কারণে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনায় চা বাগানের কিছু শ্রমিকের পাশাপাশি বহিরাগতরাও ছিল। বাগানে থাকা অফিস এবং কর্মচারীদের কোয়ার্টারেও পাথর ছোঁড়া হয়েছে। এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই বাগান বন্ধ রাখা হল। সবকিছু শান্ত হলে ফের কাজ শুরু হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement