সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদির (PM Modi) ভারতে শিক্ষায় গেরুয়াকরণের অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। গত কয়েক মাসে এনসিইআরটি-র (NCERT) নির্দেশিকা মেনে বদল এসেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে। বাদ পড়েছে মুঘল যুগ, ডারউইনের বিবর্তনবাদ, নারী আন্দোলনের ইতিহাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।NCERT থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ৩৩ জন শিক্ষাবিদ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার সরকারের পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব মিলিয়ে ৭৩ জন শিক্ষাবিদ পালটা অভিযোগ তুললেন, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ওই শিক্ষাবিদদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।
NCERT’র পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিকে বিভ্রান্ত করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁদের মতে, যুক্তি মেনেই এনসিইআরটির পাঠ্যক্রমের সংশোধন অথবা পরিমার্জন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর ডিপি সাকলানিকে বৃহস্পতিবারই চিঠি লিখেছেন ৩৩ জন শিক্ষাবিদ। সেখানে তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এনসিইআরটি একতরফা ভাবে পাঠ্যপুস্তকগুলির পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ওই বইগুলি যে আমাদের সম্মিলিত সৃজনশীল প্রচেষ্টায় ফল, তা দাবি করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে এখন। এই ৩৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ২০০৫-০৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলির প্রধান উপদেষ্টা যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পালসিকরও।
প্রসঙ্গত, এনসিইআরটির নির্দেশেকা মেনে বিভিন্ন ক্লাসের পাঠক্রমে পরিবর্তন এলেও তা রুটিন বদল বলেই দাবি করেছে কেন্দ্র। এইসঙ্গে পড়ুয়াদের উপর চাপ কমানোর যুক্তিও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে, বিজেপি সঙ্কীর্ণ ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক স্বার্থে একের পর এক সিলেবাসে বদল ঘটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সরকারের পাশে দাঁড়ালেন ৭৩ জন শিক্ষাবিদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.