Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তাল উন্নাও

ধর্ষকদের চরম শাস্তির দাবিতে উত্তাল উন্নাও, বরখাস্ত ৭ পুলিশকর্মী

দাবি মেনে নির্যাতিতার বোনকেও চাকরি দিচ্ছে যোগী প্রশাসন।

7 policemen suspended for negligence of duty in UP

নির্যাতিতাকে সমাধিস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 9, 2019 11:13 am
  • Updated:December 9, 2019 11:14 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবি মতো আসেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তা সত্ত্বেও পুলিশের আশ্বাস পেয়ে নির্যাতিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে তার পরিবার। সেসময় সেখানে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে ধর্ষকদের দ্রুত চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই কাজে গাফিলতির অভিযোগে উন্নাও জেলার বিহার পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার অজয় কুমার ত্রিপাঠি-সহ মোট সাতজন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করল যোগী প্রশাসন। রবিবার বিকেলে তাদের বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: আজ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, তপ্ত হতে পারে কক্ষ]

এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব(স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্তি জানান, ধর্ষিতার মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির জন্য বিহার পুলিশ স্টেশনের এসএইচও-সহ সাতজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল থেকে ২৪ বছর বয়সী ওই যুবতীর মৃতদেহ তাঁর গ্রামে পৌঁছয়। এরপরই সেখানে ভিড় জমাতে থাকেন অসংখ্য মানুষ। গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার দুই সদস্য স্বামীপ্রসাদ মৌর্য ও কমলরানি। সকালে সবাই যখন ওই যুবতীকে সমাধিস্থ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন রাজ্যের মন্ত্রীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে চরম শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই পুলিশ কমিশনার গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘মৃতের পরিবারের দাবি মেনে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। মৃতের বাড়ির লোক চাইলে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার বোনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি খরচে বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হবে।’

[আরও পড়ুন: রবিবারই আগুন কেড়েছে ৪৩টি প্রাণ, আজ ফের দিল্লির আনাজ মান্ডির একই বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ড]

এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার নতুন একটি বিষয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, মেয়েটির সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল মূল অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদীর। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের চুক্তিপত্রেও সই করেছিল সে। তাতে উল্লেখ করা ছিল, ‘২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি একটি মন্দিরে হিন্দুমতে আমরা দুজন বিয়ে করেছি। এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই বসবাস করব। আগামীতে যাতে কোনও আইনি সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় তাই আমরা এই চুক্তিপত্রে সই করছি।’ এই ঘটনার পর ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ২৪ বছরের যুবতীকে ধর্ষণ করে শিবম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement