ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও মোটা, কখনও আবার তোতলা বলে নিত্যদিন চলত ঠাট্টা-ইয়ার্কি। কিন্তু সেই ঠাট্টা ক্রমে অপমানের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ১৭ বছরের কিশোরের এই হেনস্থা পরিবারের সদস্যরাও মেনে নিতে পারেননি। তাই কিশোরের বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। আর বাবার সেই পদক্ষেপই কাল হল ছেলের জন্য। নাবালককে পিটিয়ে মারল সহপাঠীরা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন বাবাও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির আর্দশ নগরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপাংশু (১৭)। সান্ধ্য স্কুলে পড়ত সে। অভিযোগ, সেখানে কয়েকজন সহপাঠী প্রবল উত্যক্ত করত দীপাংশুকে। শারীরিক গড়ন নিয়ে কটাক্ষ করা হত তাকে। এমনকী, তোতলামি নিয়েও অপমান করা হত। বারবার বারণ করেও কোনও লাভ হয়নি। বুধবার এনিয়ে স্কুলে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। জামা ছিঁড়ে জখম অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিল দীপাংশু। ছেলের এই অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেনি তার বাবা সৎপাল। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দীপাংশুকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। পিছনে ছিল দীপাংশুর দাদা হিমাংশু।
স্কুল থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত সহপাঠীরা দীপাংশুকে ঘিরে উত্যক্ত করতে শুরু করে। বাধা দিলে ছুরি নিয়ে তার উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে তাকে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন বাবা সৎপাল। তার পিঠে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দু’ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দীপাংশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তার বাবাও।
দীপাংশুর দাদার দাবি, ভাইকে বারবার উত্যক্ত করা হত। বারণ করেও লাভ হয়নি। বাবা স্কুলে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন। তার বদলা নিতেই ভাইকে মারল ওরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’ জন মৃতের সহপাঠী। দীপাংশুকে খুন করার জন্য তারা অনলাইনে ছুরি কিনেছিল বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.