প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি ৬৫ লক্ষ পড়ুয়া! ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমন বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা বোর্ডগুলোতেই ফেল করার হার বেশি। পরিসংখ্যানে আরও উঠে এসেছে, সরকারি স্কুলগুলো থেকে মেয়েদের সাফল্যের হার অনেক বেশি।
২০২৩ সালের পরিসংখ্যান নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে শিক্ষা মন্ত্রক। দেশজুড়ে মোট ৫৯টি বোর্ডের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই রিপোর্ট। তার মধ্যে ৫৬টিই রাজ্য পরিচালিত। বাকি তিনটি সর্বভারতীয় বোর্ডের তথ্য নিয়ে পেশ হয়েছে রিপোর্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সরকারি স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু বেসরকারি স্কুলে ছবিটা উলটো। সরকারি স্কুলে পড়া ছাত্রীদের সাফল্যও ছাত্রদের তুলনায় অনেক বেশি।
শিক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ২০২৩ সালে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করে ৩৩.৫ লক্ষ পড়ুয়া। তার মধ্যে ৫.৫ লক্ষ পরীক্ষায় বসেনি। বাকিরা পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেনি। অন্যদিকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করে ৩২.৪ লক্ষ পড়ুয়া। পরীক্ষায় বসেও পাশ করেনি ২৭.২ লক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে, সর্বভারতীয় বোর্ডগুলোতে দশম শ্রেণিতে ফেল করার হার ৬ শতাংশ। কিন্তু রাজ্য পরিচালিত বোর্ডগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে জাতীয় বোর্ডে ১২ শতাংশ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু রাজ্য বোর্ডে এই সংখ্যাটা ১৮ শতাংশ।
কোন রাজ্যগুলোতে অকৃতকার্য হওয়ার হার বেশি? শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দশম শ্রেণিতে ফেল করার হার মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি। এই তালিকায় পরের দুই স্থানে রয়েছে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ। দ্বাদশ শ্রেণিতে ফেল করার তালিকায় শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। ২০২৩ সালের পরীক্ষার ফলাফল আগের বছরের তুলনায় খারাপ হয়েছে বলেই লেখা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টে। সেই সঙ্গে রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ, সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা অনেক বেশি সংখ্যায় বসেছে বোর্ড পরীক্ষায়। নারীশিক্ষার জন্য ভারতীয় পরিবারগুলো কতটা পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারে, সেটার উদাহরণ হিসাবেই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.