সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাহানাগার পর কাঞ্চনজঙ্ঘা। পর পর দুবছরে দুই বড় দুর্ঘটনা মোদি জমানায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গত বছর করমণ্ডলের দুর্ঘটনার পর থেকেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) পদত্যাগ দাবি করছেন বিরোধীরা। আবার বিজেপি বলছে, মোদি জমানায় বরং আগের থেকে কমেছে দুর্ঘটনার বহর। অনেক নিরাপদ হয়েছে রেল। অন্তত ইউপিএ জমানার থেকে রেল সুরক্ষার নিরিখে অনেকটা এগিয়ে মোদি জমানা।
কিন্তু বাস্তব ছবিটা কী? দুই সরকারের পরিসংখ্যান বলছে বাস্তবিকই আগের ইউপিএ (UPA) সরকারের তুলনায় গত ১০ বছরে রেল দুর্ঘটনা কমেছে। বেলাইন হওয়া, সরাসরি দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর সংখ্যা, সবটাই আগের তুলনায় কম। সেটার জন্য অবশ্য অনেকটা কৃতিত্ব দিতে হয় আধুনিক প্রযুক্তিকে। গত ১০ বছরে প্রযুক্তির নিরিখে গোটা বিশ্বই অনেকটা এগিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতীয় রেলও। তবে সেসব প্রযুক্তির ব্যবহার সত্ত্বেও যে হারে রেলে দুর্ঘটনা এখনও হচ্ছে, সেটা উদ্বেগের।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র দাবি অনুযায়ী, রেল দপ্তরের (Indian Railway) পরিসংখ্যান বলছে, ইউপিএ জমানার ১০ বছরে (২০১৪-২০১৪) রেল দুর্ঘটনা হয়েছে ১,৭১১টি। সে তুলনায় ২০১৪-২০২৩ পর্যন্ত ৯ বছরে মোদি জমানায় দুর্ঘটনা হয়েছে ৬৩৮টি। ইউপিএ জমানায় রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৩। আহত হন ৪,৪৮৬ জন। তুলনায় বিজেপি জমানায় ৯ বছরে মৃত্যু হয়েছে ৭৪১ জনের। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন। ইউপিএ জমানায় মোট ৮৬৭ বার ট্রেন বেলাইন হওয়ার পরিসংখ্যান রয়েছে। সেখানে এনডিএ জমানায় ট্রেন বেলাইন হয়েছে ৪২৬ বার।
তবে রেলের দুর্ঘটনা কমাটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ইউপিএ জমানাতেও ২০০৪ সালে যেখানে প্রতি ১০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ভারতীয় রেল ০.২৯ বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ত, সেটা ২০১৪ সালে নেমে আসে ০.১১ বারে। মোদি জমানায় সেটা আরও কমেছে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যাটা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৩৪টিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.