ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ চাহিদা কমছে ইঞ্জিনিয়ারদের! গত ২০১৫-২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছরই নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (Engineering Colleges) বন্ধ করার জন্য অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের (AICTE) কাছে আবেদন জমা দিচ্ছে বহু ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এআইসিটিই সেই সব কলেজের দাবি বিচার করে বহু কলেজ বন্ধ করার অনুমতিও দিচ্ছে। এ বছরও রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। বন্ধের অনুমোদনও দিয়েছে AICTE।
গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই বাড়ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা। যার জেরে কমছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যাও। কিন্তু এ বছর রেকর্ড ৬৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করার আরজিতে সম্মতি দিল এআইসিটিই। যার ফলে গত এক দশকে সবচেয়ে কমল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসনও। তবে এত কলেজ বন্ধের পর এখনও প্রযুক্তিগত সামগ্রিক শিক্ষাক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন ৮০ শতাংশই থাকছে। এই প্রযুক্তিগত শিক্ষার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে আর্কিটেকচার, ম্যানেজমেন্ট, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসির মতো বিষয়গুলিও পড়ে।
এআইসিটিই সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ও বিভিন্ন কলেজে আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা কোর্সে আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.২৮ লক্ষ। গত দশ বছরে এটাই সবচেয়ে কম। ২০১৪-১৫ সালে এআইসিটিই অনুমোদিত ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মোট ৩২ লক্ষ আসন ছিল। এরপর থেকেই বিভিন্ন কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার চাহিদা কমতে থাকে। তারপর থেকে প্রায় ৪০০ কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে পড়াশোনার মান ভাল ছিল না। কলেজ ও ক্লাসরুমে খারাপ পরিকাঠামো, ল্যাব ও শিক্ষকদের মান নিয়েও বহু অভিযোগ শোনা যায়। এছাড়া পড়াশোনার শেষে প্লেসমেন্টের সুযোগ দিত না বহু কলেজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.