Advertisement
Advertisement

বরাকে ফের জঙ্গিদের হামলা, ৬ জনকে গণধোলাই জনতার

মোতায়েন বিশাল পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী৷

6 ULFA ultras thrashed by mob in Dima Hasao in Assam
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 3, 2018 3:18 pm
  • Updated:November 3, 2018 4:50 pm  

মণিশংকর চৌধুরি: ফের উত্তপ্ত তিনসুকিয়ার ধোলা৷ গ্রেপ্তার উলফা নেতা জিন্টু গগৈ ওরফে দেখলাই৷ এদিকে, বরাক উপত্যকার ডিমা হাসাউ পার্বত্য জেলা থেকে গ্রেপ্তার ৬ উগ্রপন্থী৷ হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে বাঙালি অধ্যুষিত হরিনগর গ্রামে ঢোকে জঙ্গিরা৷ তবে স্থানীয়রাই ধরে ফেলে তাদের৷ বেধড়ক মারধরের জেরে সংজ্ঞা হারায় দুজন৷ স্থানীয় হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের৷  দুজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ জঙ্গিদের কাছ থেকে ৬টি একে সিরিজের রাইফেল, ২টি পিস্তল, শটগান, ৫টি গ্রেনেড ও প্রচুর সংখ্যক গুলি উদ্ধার করা হয়েছে৷  ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকা৷ মোতায়েন বিশাল পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী৷ মনে করা হচ্ছে, ধৃত জঙ্গিরা উলফা গোষ্ঠীর৷ তবে একাংশের দাবি, ওই ৬ উগ্রপন্থী ডিএইচডি (ডিমা হালম ডাউগা) -র সদস্য৷  

[তিনসুকিয়া গণহত্যার প্রতিবাদে অসমে চলছে বনধ, স্তব্ধ বরাক উপত্যকা]

এদিকে, গণহত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘটে স্তব্ধ অসমের জনজীবন। মূলত তিনসুকিয়াকে কেন্দ্র করে বনধের ডাক দেওয়া হলেও প্রভাব পড়েছে শিবসাগর, ডিব্রুগড়, জোরহাট, গোলাঘাট, কোকড়াঝাড়, বঙ্গাইগাঁও-সহ একাধিক এলাকায়। যদিও গুয়াহাটির মতো শহরকেন্দ্রিক এলাকায় বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি। এদিকে, ধৃত উলফা নেতা জিতেন দত্ত, মৃণাল হাজারিকার মুক্তির দাবিতে ডিব্রুগড় সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা৷ পাশাপাশি বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশনের নেতা সুজিত সরকারের বিরুদ্ধে তিনসুকিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে আলোচনাপন্থী উলফা নেতা প্রবাল নেওগ৷ পাশাপাশি দাবি জানানো হয়, বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেবকে গ্রেপ্তারিরও দাবি জানানো হয়৷

Advertisement

[ফের অসমে চলল গুলি, এবার আতঙ্ক ছড়াল বিহারি লাইনে]

তিনসুকিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাল বরাক উপত্যকাও৷ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান হাজার হাজার মানুষ৷ অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এদিন করিমগঞ্জে এআইইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস ও কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জায়গায় জায়গায় বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ দিন ধরে আলোচনাপন্থী আলফা সংগঠনের তরফে প্রবাল নেওগ, মৃণাল হাজারিকা, জিতেন দত্তরা বাঙালিদের অসম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। অন্যথায় বাড়ি বাড়ি ঢুকে বাঙালি নিধনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাঙালি হত্যার দায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অস্বীকার করলেও এর পিছনে তাদের হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন অসম পুলিশের ডিজি কুলধর শইকিয়া। তাঁর দাবি, যে ভাবে সেনার পোশাক ও বিপুল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে এর পিছনে পরেশ বড়ুয়াপন্থী আলফা স্বাধীন সংগঠনের হাত রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement