সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে রাজস্থানে (Rajasthan)। পণ দিতে না পারায় ‘খুন’ হন একই পরিবারের তিন বধূ ও তাঁদের দুই সন্তান। পাঁচজনেরই দেহ উদ্ধার শ্বশুরবাড়ির কাছের কুয়ো থেকে। এবারের ঘটনা মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। সেখানে ছয় শিশুর দেহ (Child Death) উদ্ধার হল একটি গভীর কুয়ো থেকে। জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের ছয় সন্তানকে কুয়োয় ফেলে দেন তরুণী মা। নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। তরুণী মাকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের রাইগড় জেলার। মাহাদ তালুকের কারাভালি নামের গ্রামটি মুম্বই থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে সোমবার দুপুরে একটি কুয়ো থেকে ছয় শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে পাঁচ কন্যাসন্তান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়োয় ফেলে সন্তানদের হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তরুণী মা রুনা চুখুরি সাহানির বিরুদ্ধে।
বছর তিরিশের রুনা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মদ্যপ। এর ফলে বাড়িতে নিয়মিত অশান্তি হত। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধর করার পরে এই কাজ করেন তিনি। নিজেও কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অন্যরা আটকে দেয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজের খোঁজেই মহারাষ্ট্রে এসেছিল পরিবারটি। ফলে অভাব-অনটন থেকেই মা এই কাজ করেছেন বলে আন্দাজ করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে মৃত শিশুদের বয়স ১৮ মাস থেকে ১০ বছরের মধ্যে। তরুণী মাকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের ঘটনায় তিন বোনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির কাছের কুয়ো থেকে। একই কুয়ো থেকেই উদ্ধার হয় বড় বোনের চার বছর ও ২২ দিনের দুই সন্তানের দেহও। জানা গিয়েছে, অন্য দুই তরুণীও গর্ভবতী ছিলেন। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃত তিন তরুণীর বাবার অভিযোগ, পণের (Dowry) জন্য অত্যাচার চালাত তাঁর তিন মেয়ের স্বামী-সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। তিন মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বাবার। এদিকে ওই কুয়ো থেকে পড়ে এক সদ্যোজাতের দেহও উদ্ধার হয়। মনে করা হচ্ছে তা দুই অন্তঃসত্ত্বা মৃত তরুণীর একজনের সন্তান। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সমাজকর্মীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.