সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল৷ ভারত-চিন সীমান্ত থেকে এক বছর তেইশের যুবককে নিরাপদে ভারতে নিয়ে আসতে হবে৷ অসম রাইফেলসের ২০ বছরের হাবিলদার তখন জানতেন না৷ কী করছেন? কেন করছেন? কাকেই বা এত নিরাপত্তা দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে? শুধু জানতেন দায়িত্ব পেয়েছেন৷ তা পূরণ করতেই হবে৷ তাই করেছিলেন৷ আর সেই দায়িত্ব পালন করেই সাক্ষী হয়েছিলেন বিরল ইতিহাসের৷ নরেন চন্দ্র দাস৷ চিনের হাত থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় দলাই লামার তৎকালীন দেহরক্ষী৷
[নাবালক প্রেমিকের সঙ্গে বাড়িতেই সহবাস, গ্রেপ্তার ২১ বছরের যুবতী]
প্রায় ৫৮ বছর দেখা হল দু’জনের৷ সেনা থেকে অবসর নিয়েছেন নরেন৷ দলাই লামাও ভারতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন৷ এসেছেন গুয়াহাটির এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে৷ চিনতে পারবেন কী? মনে একটু হলেও সন্দেহ ছিল৷ সব সন্দেহ এক পলকে মিটিয়ে দিলেন লামা৷ দেখা হতেই বুকে টেনে নিলেন ১৯৫৯ সালের সেই সঙ্গীকে৷ প্রায় মিনিট কয়েক তাঁকে আলিঙ্গনবদ্ধ রাখলেন ধর্মগুরু৷ আবেগে তাঁর চোখ দু’টোও যেন চিকচিক করে উঠল৷ অবসরপ্রাপ্ত অসম রাইফেলসের হাবিলদারের মুখেও কথা ছিল না৷
পরে আবেগাপ্লুত ধর্মগুরু বললেন, অসংখ্য ধন্যবাদ৷ অসম রাইফেলসের পুরনো সঙ্গীর দেখা করতে পেরে দারুণ লাগছে৷ সত্তর পেরনো দাসও ফিরে গেলেন সেই দিনগুলিতে যখন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা হাই প্রোফাইল অতিথিকে চিন থেকে নিরাপদে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন৷ দাসের মুখের বলিরেখা দেখে রসিকতা করতেও ছাড়লেন না লামা৷ বলে উঠলেন, তোমায় দেখে মনে হচ্ছে আমারও বয়স হয়ে গিয়েছে৷ অনুষ্ঠান শেষেও একবার দাসকে কাছে ডাকেন লামা৷ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরই মঞ্চ ছাড়েন তিনি৷
[কলম্বিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৪]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.